ঘুম থেকে উঠেই ঘরের কাজ, বাচ্চাকে খাওয়ানো, অফিসের জন্য রেডি হওয়া ছাড়াও আরও অন্যান্যদায়িত্বও থাকে। সেগুলি সেরে ওঠার পর আর নিজের জন্য সময় দেওয়ার ফুরসত থাকে না। তবে ত্বকের জন্য ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার বা সানস্কিন লাগানো কখনও ভোলেন না।রাতে জমে থাকা তেল ও ময়লা দূর করতে ক্লিনজিং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ জল ব্যবহার করেও মুখ ধোয়া সম্ভব। তবে তার সঙ্গে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফেস ম্যাসাজ করা আবশ্যিক। মুখের ম্যাসাজ করা সময়সাপেক্ষ, এই ধারণাই ভুল।উজ্জ্বল ও সুস্থ ত্বকের জন্য সকালে ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েশন, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং অবশ্যই দরকার। তবে আপনি যদি ব্যস্ততার মধ্যেও ত্বকের পরিচর্চা করতে চান, তাহলে মাত্র ৫ মিনিট ফেস ম্যাসাজ করতে পারেন।ত্বকের যত্ন নেওয়া সবসময় দরকার।
পরিচর্চায় অবহেলার কারণে অকাল বার্ধক্য, নিস্তেজ ও দাগযুক্ত ত্বক হতে পারে। অধিকাংশ মহিলাই ব্রণ, পিগমেন্টশন, অকাল বার্ধক্য, ডার্ক সার্কেল বা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা ভোগেন। সেক্ষেত্রে মর্নিং ম্য়াসাজ নিতে মাত্র ৫মিনিট সময় নিন।সকালের অনেক কাজের মধ্যে নিজের জন্য সময় বের করুন মাত্র ৪ থেকে ৫ মিনিট। এই সময় যদি ত্বককে পুষ্ট করে তুলতে চান, উজ্জ্বল ও হাইড্রেটেড করতে চান, তাহলে অবশ্যই ফেস ম্যাসাজ করতে পারেন।এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ই ও এফ সমৃদ্ধ, যার ফলে ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ও স্বাস্থ্যকর ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করতে সাহায্য করে।পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফোলেট, পটাসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে।
এই সমস্ত পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই ত্বকের জন্যও ভাল। ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ব্রণর প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পেঁপের পাল্প মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।এতে রয়েছে ভিটামিন ই ও বি কমপ্লেক্স , যা ত্বককে মেরামত করতে, ত্বকের ক্ষতি থেকে রোধ করতে সাহায্য করে। জোজোবা তেলের গুণে ত্বকের লালভাব কমিয়ে দিতে সাহায্য করে, শুষ্কভাব কেটে যায়।উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেস ম্যাসাজ করতে তিলের তেল ও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে, যা ত্বকের জন্য পারফেক্ট। তিলের তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, যা ত্বকের কোষকে রক্ষা করে।
এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের উপর থেকে দাগ ও ফুসকুড়ি থাকলে তা হ্রাস করে।শুষ্ক ত্বক থাকলে নারকেল তেল ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী হয়। এর ফলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব আসে,শুষ্কতা কেটে হাইড্রেটেড হয়। ত্বকের উপর পোড়া দাগ বা ট্যানড থাকলে তাও ধীর ধীরে প্রশমিত হয়।একটি পাত্রের মধ্যে এক চা চামচ মধু ও এক চিমটে হলুদের গুঁড়ো নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয় ম্যাসাজ করতে পারেন। দুই উপাদানেই রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা ত্বককে পুষ্টি জোগাতে ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।