শুধু মিডডে মিলের পাতে নয়।ছাদ বাগানের সবজির ভাগীদার হন এলাকার দুঃস্থ পরিবারগুলিও। বর্ধমান পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোদায় অবস্থিত বর্ধমান আদর্শ বিদ্যালয়। বছর পাঁচেক আগেও স্কুলের নাম জিজ্ঞেস করলে কেউ বলতে পারতো না।পড়ুয়াদের সংখ্যা ছিল একেবারে হাতেগোনা। এলাকার বাসিন্দারা তো বটেই শিক্ষা দপ্তরও ভেবে নিয়েছিল বিদ্যালয় আর টিকানো যাবে না।একদিকে পরিকাঠামোর অভাব।অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা একেবারে নীচের দিকে। স্কুল টেকানোয় দায়।জেলা প্রশাসনও স্কুলের নাম শুনলে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
এত কিছু বাধা পেরিয়ে স্কুল চলছে গড়গড়িয়ে।গল্প হলেও সত্যি। ম্যাজিকের মত বদলে গেছে স্কুলের চিত্র। ঝাঁ চকচকে স্কুল।ছাদে ফলছে শীতকালীন বাহারি ফসল।কি নেই ছাদ বাগানে! বেগুন, ফুল কপি,বাধাকপি,লঙ্কা, টমেটো,পালং শাক থেকে মূলো, গাজর,বিনস সবই হচ্ছে আদর্শ বিদ্যালয়ের ছাদে।
গোটা শীতকাল ভর মিডডে মিলের জন্য সবজি কিনতে হয় না।ছাদ বাগানের সবজি দিয়েই চলে যায়। পাশাপাশি স্কুলের পাশে বসবাস করা দুঃস্থ পরিবার গুলিকেও প্রতিবছর শীতকালে কাঁচা সবজি তুলে দেওয়া হয় স্কুলের পক্ষ থেকে। এবছর কোভিডের জন্য স্কুলের ছাদবাগানে সবজি চাষ প্রথম দিকে তেমন ভালো হয় নি।চাষ,থমকে গিয়েছিল।কিন্তু পরে তা ঠিক হয়ে যায়। কোভিডের সংক্রমণ একটু কমতেই ছাদ বাগান ফের সেজে উঠেছে স্বমহিমায়। গোটা ছাদ এখন শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে।
এলাকার দুঃস্থদের হাতে কাঁচা সবজি তুলে দেওয়া হল।এতে খুশী স্থানীয়রাও।যেহেতু কোভিডের জন্য এবছর স্কুল বন্ধ। তাই মিডডে মিলে সবজি লাগছে না। সেই সব সবজিই এবার স্থানীয়দের দেওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর রায় বলেন ছাদ বাগানের পাশাপাশি স্কুল চত্বরেও বেশ কিছু সবজি চাষ করা হয়েছে। ফলে এবার সবজির ফলনও বেশ ভালো।