নির্বাচন ঘোষনার আগেই উত্তপ্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর।শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল পিছু ছাড়ছে না নির্বাচন সংস্পর্শেও।বাদ কয়েকদিনেই ঘোষনা হবে একুশের নির্ঘন্ট।তার আগেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায়।তাও আবার থানার মূল ফটকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ বলে সূত্রের খবর। পুলিশি হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণ আসে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে অস্বস্তিতে শাসকশিবির। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
আক্রান্ত হয়েছে যুব তৃণমূলের দুই কর্মী কৌশিক সিংহ ও দীপক পাসওয়ান।তাদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।এমনকি মাটিতে লুটিয়ে লাথি চর-ঘুষি মারা হয় এমনটাই দাবি আক্রান্তদের। পরে সহগামীরা গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান।ওখানে দূজন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনার পিছনে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানিক দাসের নেতৃত্বে সাহেব দাস তাদের দলবল নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ আক্রান্ত কৌশিক সিংহের।
যদিও অপর গোষ্ঠীর যুব তৃণমূল নেতা সাহেব দাস গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছন।সাহেবের অভিযোগ ও দাবি, ব্লক ১ যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের দলবল নেই।কর্মী শূন্য চলছে সভাপতির সভাপতিত্ব।তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে নিজের গোষ্ঠীতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।রাতে যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের কিছু দলবল মদ্যপ অবস্থায় ছিল তারা নিজেরাই গন্ডোগোল লাগিয়েছে।সাহেব দাসের বিস্ফোরক মন্তব্যে জানা গেল,হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি জিয়াউর রহমান ওই বিধানসভার কংগ্রেসের বিধায়ক মোস্তাক আলমের আত্মীয়।তৃণমূলে থেকে লড়িয়ে দিচ্ছে জিয়াউর রহমান।নির্বাচনে সাফল্যটা জেনে কংগ্রেসের মিলে তাই কর্মীদের লড়িয়ে বিভাজন তৈরী করছে যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান।বলে জানালেন যুব তৃণমূল কর্মী সাহেব দাস।
হরিশ্চন্দ্রপুরের যুব তৃণমূল সভাপতি গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে বলেন,ওরা তো তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে বিজেপি হয়ে কাজ করছে।তারা তৃণমূলে থাকলেও দলের নীতি আদর্শ জানেনা।আর বিধায়ক মোস্তাক আলম ঘনিষ্ঠ নয়।প্রতিবেশী রয়েছে বলে দাবি করেছেন যুব সভাপতি।এছাড়াও ঘটনার দিন এলাকার ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস অবশ্য সেদিন দলীয় কাজে জেলায় পাড়ি দিয়েছিলেন। কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা দলের অন্দরেই মেটিয়ে নেওয়া হবে।
তবে একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দে আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি।
মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক কিষান কেডিয়ে কটাক্ষ করে বলেন,রাজ্যে তৃণমূল দলটা আর থাকছে না।সব শেষ হয়ে যাচ্ছে বুঝে নিজেদের মধ্যে লড়াই চালিয়েছে যাচ্ছে।তবে তারা বিজেপি কর্মী নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।শাসকদলকে কাটমানির সরকার বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।থানা অফিসের সামনে এমন ঘটনায় প্রশাসন নীরব কেন?শাসক বলেই কি নীরব,প্রশ্ন তুলছে জেলা বিজেপি।
যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই পারদ চড়ছে রাজনৈতিক বাজারে।একুশের লড়াইয়ে কে সাফল্য পাবে এখন সেটাই দেখার বিষয়।