এবার বেসুরো বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার পাত্রসায়ের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ইস্তফা দিলেন নিজের পথ থেকে ।
নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বাঁকুড়ার তৃনমূল পরিচালিত পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সুব্রত কর্মকার । গত বেশ কয়েকমাস ধরেই দলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাঁর অনুপস্থিতি চোখে পড়ছিল। এবার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় তাঁকে ঘিরে শুরু হয়েছে দলবদলের জল্পনা। যদিও তিনি নিজে জানিয়েছেন এই মূহুর্তে তাঁর তেমন পরিকল্পনা নেই।
সুব্রত কর্মকার শুধু তৃনমূল পরিচালিত পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তাই নয় তৃনমূলের দাপুটে নেতা হিসাবেও এলাকায় পরিচিত ছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনেও এলাকায় তাঁকে সক্রিয় ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল।
কিন্তু গত প্রায় ১৪ মাস ধরে দলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাঁর অনুপস্থিতি রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছিল দলের স্থানীয় নেতাদের। এবার তৃনমূলের স্থানীয় পাত্রসায়ের ব্লক ও বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের রক্তচাপ আরো একটু বাড়িয়ে পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের পফ থেকে পদত্যাগ করলেন সুব্রত কর্মকার।
যদিও তিনি তৃনমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করছেন না বলেই জানিয়েছেন। সুব্রত কর্মকারের দাবি প্রশাসনিক ভাবে তাঁকে সেভাবে বাধা না দেওয়া হলেও দলের তরফে কাজে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। সে কারনেই কি পদত্যাগ? তা অবশ্য এদিন পরিস্কার করেননি সুব্রত কর্মকার।
কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পদত্যাগের ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর দলবদলের সম্ভাবনার জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। যদিও সুব্রত কর্মকার নিজে দাবি করেছেন দলবদলের এখনই কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। কেন পদত্যাগ তা জানা নেই দাবি করে তৃনমূলের জেলা নেতৃত্ব বক্তব্য খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজেপির দাবি ঠেলায় পড়েই এখন সুব্রত কর্মকার পদত্যাগ করে থাকতে পারেন। নিজেদের কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাইলে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাদের দলে এলে তাঁকে স্বাগত জানাব।