স্টেশন চত্ত্বরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দাঁতাল! রাতের অন্ধকারে থানার আশেপাশেও গজরাজের পদধ্বনি! এমনই এক সোনামুখী শহরের নিশি-চিত্র। দিন গড়িয়ে একটু একটু করে সন্ধ্যে নামলেই নিসাড় হয় সোনামুখী স্টেশন চত্ত্বর। আর জনশূন্য এই এই রেল স্টেশনে শুরু হয় বিশালাকার বুনো হাতির উপদ্রব।
কি, শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না, তাইতো? নিজের চোখে দেখুন সেই ভিডিও! কিভাবে বিশালাকার দুটি দাঁতাল নিশিরাতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সোনামুখী স্টেশন চত্ত্বরে। শুধুমাত্র স্টেশনে দাঁপিয়েই ক্ষান্ত হয়নি এই হাতি। স্টেশনের পর্ব সেরে সেটি আবার উপস্থিত হয় সোনামুখী থানার কাছে। সেখান থেকে আবার সোনামুখীর হরনাথ মন্দিরে। সেখানে একটি দেওয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে চালাতে থাকে তান্ডবলীলা।
ভোররাতে গজরাজের এহেন উপদ্রব সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে। তারপর খবর যায় রেঞ্জ অফিসে। এলাকায় ছুটে আসেন বনকর্মীরা। তারপর সকাল নাগাদ জঙ্গলে বিদায় হন এই হাতিজোড়া। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এলাকার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টি হাতির একটি দল এই মুহূর্তে রয়েছে। তারা যেকোনো সময় ঢুকে পড়তে পারে এলাকায়। তাহলে সোনামুখীবাসীর সুরক্ষা? প্রশ্ন ও আতঙ্কে রাত পার হচ্ছে সাধারণ মানুষের।