হাতির হানায় মৃত্যু এক যুবকের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ঘটনা সোনামুখী রেঞ্জের I
গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় হাতির আক্রমণ নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতির হামলায় মৃত্যু হলে পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি পরিবারের একজনকে ফরেস্ট হোমগার্ড পদে চাকরী দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষনা করেন। সেই ঘোষনার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই হাতির হানায় বাঁকুড়া জেলায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম মিলন কারক। বাড়ি সোনামুখী থানার কোচডিহি গ্রামে।
জানা গেছে গতকাল দুপুরে বড়জোড়া এলাকায় থাকা প্রায় চল্লিশটি হাতির দলকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুখী ব্লক এলাকায়। রাতে স্থানীয় কোচডিহির জঙ্গলে ছিল হাতির পালটি। সন্ধ্যে নামতেই খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে হাতির পালটি নেমে আসে পার্শ্ববর্তী ধানের জমিতে। নিজের জমির ফসল বাঁচাতে অন্যান্য গ্রামবাসীর পাশাপাশি মিলন কারকও নিজের জমি পাহারা দিতে গিয়েছিলেন।
জমি পাহারা দেওয়ার সময় আচমকাই হাতি আক্রমণ করে মিলন কারককে। তাঁকে শুঁড়ে করে তুলে মাটিতে আছাড় মেরে পায়ে করে থেঁতলে দেয় হাতিটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিলন কারকের। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে সোনামুখী থানায় নিয়ে যায়। মিলন কারকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেও বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
হাতির হানায় মৃত 1 ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Mittwoch, 7. Oktober 2020
এদিকে আজ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। মিলন কারকের মৃত্যুর জন্য এলাকার মানুষ বন দফতরের পরিকল্পনাহীনতাকেই দায়ী করেছেন। স্থানীয় বিধায়কের দাবি যে এলাকায় হাতির দল রয়েছে সেই এলাকার মানুষকে সচেতন করার উদ্যেশ্যে প্রকৃত তথ্য বন দফতরের তরফে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা বারংবার ঘটছে। মানুষের জীবনের দাম আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা চাকরীতে নয় প্রাণহানীর ঘটনা যাতে এড়ানো যায় সে ব্যাপারে বন দফতরকে সচেষ্ট হতে হবে।
তবে এ বিষয়ে সোনামুখী রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার দল চক্রবর্তীর বলেন এলাকায় হাতির দল আসার ব্যাপারে যথা সময়ে সঠিক জায়গায় খবর দেওয়া হয়েছিল । ঘটনার আগের দিন আমি নিজে বিট বাবুকে নিয়ে ওই গ্রামবাসীদের এবং চাষীদের নিয়ে আলোচনা করি কিভাবে হাতি গুলিকে ড্রাইভ করা হবে তারপরও এই দুর্ঘটনা ঘটে গেছে । মৃতের পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ।
তিনি বিধায়ক সাহেবের কথার পরিপেক্ষিতে বলেন আমার এক্তিয়ারের মধ্যে যে সমস্ত মিটিং গুলি হয় সবগুলিতেই আমি বিধায়ক সাহেবকে খবর দেই যেগুলি আমার এক্তিয়ারের নয় সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না I