বিপুল পরিমাণ সোনা কিনেছে ভারত। অন্তত তেমনই দাবি করেছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল বা ডব্লুজিসি। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ১৯১.৭ টন সোনা কিনেছে ভারত। অর্থ মূল্যে এর দাম ৮৫,০১০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতের এই সাহসী এই পদক্ষেপ স্বর্ণ বিনিয়োগের বৈশ্বিক মানচিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)-এর তরফে জারি করা নির্দেশিকায় এর আগে বলা হয়েছিল, আয়কর হানার ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির সঞ্চিত সোনার গহনা বাজেয়াপ্ত করার সময় তাঁর লিঙ্গ এবং বৈবাহিক সম্পর্কের কথা মাথায় রাখা দরকার।
তাঁর পারিবারিক সম্পর্কের কথাও ভাবতে হবে।ভারতে ব্যক্তিগত স্তরে সোনার গয়না রাখার কোনও উর্ধ্বসীমা নেই। নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় বিবাহিত মহিলারা তাঁদের কাছে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালঙ্কার রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনও রকম তথ্য প্রমাণ পেশ করার প্রয়োজন হয় না। ১৯৯৪ সালের ১১ মে এই মর্মেই নির্দেশিকা জারি করেছিল ভারতীয় আয়কর দফতর। কিন্তু অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে বাড়িতে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালঙ্কার সংরক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে আইনে। ভারতীয় পুরুষের ক্ষেত্রে বৈবাহিক স্থিতি নিরপেক্ষ ভাবে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালঙ্কার সংরক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
এই পরিমাণের বেশি স্বর্ণালঙ্কার সংরক্ষণ করতে গেলে তথ্য প্রমাণ পেশ করা দরকার। না হলে তা আয়কর আইনে সন্দেহজনক হিসেবে ধার্য করা হয়। তবে এই হিসেব শুধু মাত্র স্বর্ণালঙ্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। স্বর্ণমুদ্রা বা সোনার বার রাখার ক্ষেত্রে সব সময়ই তথ্য প্রমাণ রাখা দরকার। না হলে তা যে কোনও সময় বাজেয়াপ্ত করতে পারে আয়কর দফতর।