পেশাদার চালকের মতোই চাকা ঘুরিয়ে লঞ্চ চালাচ্ছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন লতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সুন্দরবন সফরের প্রথম দিনেই সরকারি আধিকারিকদের কাজে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর কম্বল বিতরণের কথা থাকলেও সেগুলি মঞ্চে না থাকায় জেলাশাসক এবং স্থানীয় বিডিওর উপর ক্ষোভ উগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার অবশ্য খোশমেজাজেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইছামতীতে লঞ্চে চেপে সুন্দরবনের উপকূল এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে লঞ্চ ছাড়ে। চালকের কেবিনে বসে থাকা মুখ্যমন্ত্রী লঞ্চ চালানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তার পরই দেখা যায়, পেশাদার চালকের মতোই চাকা ঘুরিয়ে লঞ্চ চালাচ্ছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে লঞ্চ চালাতে দেখে চালকের কেবিনে চলে আসেন সরকারি আধিকারিকরাও।রাজনীতির বাইরেও এ সব নিত্যনতুন কাজে যে তাঁর বিশেষ উৎসাহ আছে, তা নিজেই বহু বার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইছামতীতে লঞ্চ চালানোর পর একটি গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি।