মেয়াদ উত্তীর্ন হয়েছে দু বছর আগে সেই মেয়াদ উত্তীর্ন মশা নিধন কীটনাশক স্প্রে কে ঘিরে বিষ্ণুপুর পুরসভার বিরুদ্ধে উঠল বড়সড় অভিযোগ। সোমবার সকালে এই বিষয় নজরে আসে বিষ্ণুপুর পুরসভার ৮ নং ও ৭ নং ওয়ার্ডে। জানা গেছে সোমবার সকালে স্থানীয় সুপারভাইজার মশা নিধনের প্যাকেট করা কীটনাশক স্প্রে করতে যান এলাকায়। এরপরে ৮ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর নজরে আসে পুরসভার থেকে যে কীটনাশক স্প্রে করতে দেওয়া হয়েছে সেই কীটনাশকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালে।
এরপরে এলাকায় ওই মশা নিধন কীটনাশক স্প্রে করা বন্ধ করে দেন এলাকার মানুষ। এরপরে ৭ নং ওয়ার্ডেও একই ঘটনা ঘটে। সেখানেই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে যাওয়া কীটনাশক স্প্রে করা বন্ধ করে দেন। এলাকার মানুষের দাবি মশা নিধনের নামে মেয়াদ উত্তীর্ন কীটনাশকের স্প্রে করার অর্থ কি পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তারা। কিভাবে এলাকায় এলাকায় মশা নিধনের মেয়াদ উত্তীর্ন কীটনাশকগুলি সরবরাহ করল বিষ্ণুপুর পুরসভা তা নিয়ে সরব হয়েছে বিষ্ণুপুরবাসী।
পুরসভার গাফিলতিকে দায়ী করেছেন এলাকার মানুষজন। সুত্রের খবর সোমবার ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে ওই কীটনাশক স্প্রে করার কথা ছিল এলাকার মানুষের নজরে আসলে তা বন্ধ করা হলেও। এর আগে এই মেয়াদ উত্তীর্ন কীটনাশক একাধিক ওয়ার্ডে স্প্রে করাও হয়েছে বলেও খবর। পুরসভার থেকে কিভাবে মেয়াদ উত্তীর্ন কীটনাশকগুলি সরবরাহ করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে পুরসভার বিরুদ্ধে। কিভাবে এই কীটনাশকগুলির ব্যবহারের আগে মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে গেল তা নিয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুরসভার দাবি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।