আমাদের খবরের জেরে দুঃস্থ অসুস্থ শিশুর পাশে নেতা,জনপ্রতিনিধি এবং সমাজসেবী
অদ্ভুত এক অসুখে ভুগছিল মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর এর কোয়ামারি গ্রামের শিশু তানিশা। এই রোগে মাথার ওজন হয় শরীরের থেকে বেশি। ১৩ মাসের এই ছোট শিশুর বাবা মায়ের অভাবের সংসার । তাই কঠিন এই অসুখের চিকিৎসা সম্ভব জেনেও কিছুই করতে পারছিলেন না অসহায় বাবা মা।দুই দিন আগে এই খবর সম্প্রচারিত হতেই এই শিশুর চিকিৎসায় পাশে এসে দাড়ালো কিছু সমাজকর্মী এবং রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা।
ছোট্ট তানিশা বিছানা থেকে উঠতে পারে না, আর পাঁচটি স্বাভাবিক শিশুর মত জিবন যাপন করতে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় তার অসুখের জন্য।এই রোগে মস্তিষ্কে জল জমতে থাকে এবং তার চাপে মাথা ক্রমশ বড়ো হতে থাকে।সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।
চিকিৎসকদের মতে , হাইড্রোসেফলাস এর চিকিৎসা সম্ভব।তবে দেখতে হবে রোগী কি অবস্থায় আছে।
জন্মের পর থেকেই তানিশা এই রোগে আক্রান্ত। মাথার ভরে বিছানা থেকে উঠতে পারেনা সে , দুই পাশে ঘা এবং ব্যথা যন্ত্রণায় তার জিবন দুর্বিষহ। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখানে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব না।
খবরের জের ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Dienstag, 20. Oktober 2020
তানিশার বাবা উজির হোসেন পেশায় একজন দিনমজুর। এলাকার ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। এক চিলতে টালির চলে স্ত্রী কন্যা নিয়ে দারিদ্রের সংসার।মে কে বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেই। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকলেও ফ্রী তে কোথায় চিকিৎসা হয় জানা নেই তাদের।
সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারিত হতে এদিন তাদের পাশে দাঁড়ান মালদা জেলা পরিষদের শিশু,নারী ও ত্রাণ কর্মাধক্ষ্যা মর্জিনা খাতুন, দু নম্বর ব্লকের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সেতাবুর রহমান,তৃণমূল নেতা নাজিম আখতার সহ অন্যান্যরা।
কলকাতার এক সমাজসেবী তন্ময় দত্তও পাশে দাড়ানোর কথা দিয়েছেন এবং আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন।