আমাদের খবরের জেরে দুস্থ মেধাবী ছাত্র কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তৃণমূল নেতা।
কথায় বলে ইচ্ছাশক্তি বড়ো শক্তি। কঠোর পরিশ্রম ও প্রবল মনোবল যে কোনো প্রতিকূলতা কে হার মানতে পারে। অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল প্রবেশিকা অর্থাৎ নিট পরীক্ষায় ৭২০ র মধ্যে ৫৮৫ নম্বর পেয়ে তুলকালাম করে দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলকালাম। মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রারিয়াল গ্রামের এক গৃহশিক্ষকের ছেলে তুলকালাম। সমগ্র ভারতে প্রায় ১৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭৬০৭ স্থান দখল করেছে সে। নিটে এত ভাল ফলাফলের পরেও ডাক্তার হওয়ার পথে তার সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো দারিদ্রতা। সংসার চালিয়ে তার ডাক্তারী পড়ার খরচ কিভাবে যোগাবে তাই ভেবে পাচ্ছিলেন না তুলকালাম এর বাবা আবুল কালাম। গতকালই এই খবর প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। খবরের জেরে এবার তুলকালাম এর পাশে এসে দাঁড়ালেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা হরিশ্চন্দ্রপুর এর দাপুটে তৃণমূল নেতা বুলবুল খান। এদিন তিনি তুলকালামকে সম্বর্ধনা জানান এবং কিছু আর্থিক সাহায্য করেন।
মালদা আল আমিন মিশনে পড়তো তুলকালাম। ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিল সে। দারিদ্রতাকে জয় করে একের পর এক বাধা পেরিয়ে গেছে। ২০১৮ সালে মালদা মহেশমাটি ডি এন সাহা বিদ্যাভবন থেকে ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছিল তুলকালাম। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আল আমিন মিশনে জয়েন্ট এর প্রিপারেশন নিতে শুরু করে তুলকালাম। তার পরিশ্রমের ফল মিলল। এবছর নিটে নজরকাড়া রেজাল্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। কিন্তু তুলকালাম এর বাবা আবুল কালাম একজন গৃহশিক্ষক। বাড়িতে সে ছাড়াও রয়েছে তিন ভাই। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। তাই এত ভালো রেজাল্ট এর পরও তার ডাক্তারী পড়ার খরচ কিভাবে যোগাবে সেই নিয়েই দুশ্চিন্তায় ছিল তুলকালাম এবং তার পরিবার। মা শাহিনুর বিবি গৃহবধূ হলেও পরিবারের দরকারে অন্যের জমিতে ধান কাটতে হয়। এরকম একটি পরিবারে ডাক্তারি পড়ার খরচ জোগানো নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছিলেন তারা।
খবরের জের : দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে সাহায্যের হাত ( মালদা )
খবরের জের : দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে সাহায্যের হাত ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Mittwoch, 21. Oktober 2020
তারপর গতকাল তুলকালাম এর সাফল্যের খবর সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তাদের পরিবার এবং এলাকাবাসী আবেদন জানায় কোন সহৃদয় ব্যক্তি তাদের পাশে এসে দাঁড়ালে এই মুহূর্তে তারা খুব উপকৃত হবে। এরপর সেই খবর দেখেই আজ তাদের পাশে এসে দাঁড়ান মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। সহৃদয় এই নেতা আশ্বাস দিয়েছেন সমস্ত রকম ভাবে তাদের পাশে থাকবে। আজ এসে তুলকালামকে সম্বর্ধনা জানান তিনি। সাথে কিছু আর্থিক সাহায্য করেন। আর বুলবুল খানকে পাশে পেয়ে হাসি ফুটেছে তুলকালাম এবং তার পরিবারের মুখে। অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছে তারা।
বুলবুল খান বলেন,”আজ আমার অনেক কাজের মধ্যেও সময় করে এদের সাথে দেখা করে গেলাম। তুলকালাম এর সাফল্য আমাদের সকলকে গর্বিত করেছে। অর্থের অভাবে ওর পড়া আটকাবে না। আমি আজ কিছু সাহায্য করে গেলাম এবং ভবিষ্যতে যে কোন দরকারই পাশে থাকবো।”
তুলকালাম বলে,”আজ মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল মহাশয় আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। উনি আমার সাফল্যের জন্য আমাকে সম্বর্ধনা জানান এবং আমার পরিবারকে কিছু আর্থিক সাহায্য করেছেন। ভবিষ্যতে আমাদের পাশে থাকার কথাও বলেছেন। উনার সাহায্যে আমরা খুব খুশি।”
উল্লেখ্য, এলাকার মানুষের দরকারে বরাবরই পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে সহৃদয় এই তৃণমূল নেতাকে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোটায় তিনি যেন জনসংযোগের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
এর আগেও বহু দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে এই রাজনৈতিক নেতাকে। আরো একবার তিনি পাশে দাড়ালেন একটি অসহায় পরিবার ও দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের।