আমাদের খবরের জেরে সাহায্য পেল দৃষ্টিহীন বিশুয়া দাস(৬৫)। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা বয়স পঁয়ষট্টির পৌঢ়া দৃষ্টিহীন বিশুয়াবাবুর পরিবারের জীবন দুর্দশার কথা আমাদের সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। খবরের জেরে মঙ্গলবার তার বাড়িতে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এদিন তারা অসহায় পরিবারটিকে চাল,ডাল ও কিছু অর্থীক সাহায্য করেন বলে খবর।
উল্লেখ্য দৃষ্টিহীন বিশুয়া-স্ত্রী,ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে একটি মাত্র আঁটোসাঁটো ভাঙা ঘরে পলিথিন টাঙিয়ে কোনোরকমে দিনগুজরাণ করেন।মিলেনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর, হয়নি প্রতিবন্ধী সংশাপত্রও। প্রায় ৩৫ বছর ধরে অন্ধ অবস্থায় বাড়িতে বসে রয়েছে সে। চুলে পাক ধরেছে। চামড়া কুঁচকে গেছে।বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। দৃষ্টিহীন বিশুয়া একাই চলাফেরা করতে পারে না। একমাত্র ছেলে বললাম দাস বাবাকে নিয়ে হাঁটা-চলা করে।
স্ত্রী কুশমি দাস দিনমজুর করে পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেন।যেদিন কাজ জোটে না সেদিন তাদেরকে হয় অর্ধাহারে না হয় অনাহারে থাকতে হয়। তাদের জীবনের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের কথা শুনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
এদিন উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক কৃষ্ণ মহালদার সহ ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি অবিনাশ দাস জানান, খবরের জেরে বিশুয়া বাবুর চরম দুর্দশার কথা জানতে পেরে মঙ্গলবার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাল-ডাল দিয়েও সাহায্য করেন। এবং নির্বাচনের পর প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ও ভাতার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।