আজও নতুন করে আরো পঁচিশটা কুকুরের মৃত্যু হল বিষ্ণুপুর পৌরসভা এলাকায় চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন কেনাইন ডিসটেম্পার রোগের কারণে এই মৃত্যু ঘটতে পারে এই রোগের লক্ষণ জ্বর, বমি, পায়খানা সাধারনত কুকুরের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই রোগটি । গত চারদিন ধরে ২০০অধিক পথ কুকুরের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে । ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিষ্ণুপুর পুরসভা। মৃত্যুর কারন জানতে সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কুকুর মৃত্যুর ঘটনা জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য ও আতংক। এখনও করোনা আতংকের ভয় রীতিমতো তাড়া করছে শহরবাসীকে এর মাঝেই নতুন আতংক কুকুর মোড়কের আতংক বিষ্ণুপুর শহরে।
পুরসভা সুত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার ৬০ টি, বুধবার ৮৩ টি ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি এবং শুক্রবার সকাল পর্য্যন্ত নতুন করে ২৫টি কুকুর মারা গেছে সবমিলিয়ে ২০০অধিক পথ কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ কি কারণে একের পর এক পথ কুকুর মারা যাচ্ছে বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারো কাছেই। এর আগে শহরে কুকুরের এমন মোড়ক কখন হয়নি।
তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় বিষ্ণুপুর পুরসভা। বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কি কারনে এত কুকুরের মৃত্যু হচ্ছে তার জন্য গতকাল মৃত কুকুরের পোস্ট মর্ডেম করা হয়েছে তার পরেই জানা যাবে কি কারন। তবে পশু চিকিতসক এবং পুরসভা যৌথ ভাবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলেই দাবি তার।
পশু চিকিতসকদের প্রাথমিক ধারনা এটা এক ধরনের ‘ভাইরাল ইনফেকশানে’ কারনে হয়ে থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এটা হতে পারে। কেনাইন ডিসটেম্পার রোগ বলা হয় এই রোগ কে কুকুরদের সেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়না। ফলে ঐ ভাইরাল ইনফেকশান থেকেও এই কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।
সঠিক কি কারনে কুকুর গুলির মৃত্যু হচ্ছে তা নির্নয়ের জন্য মৃত কুকুর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে কারন। বাড়ির পোষ্য কুকুরের মৃতুর খবর নেই। শুধু পথ কুকুরের এমন মৃত্যু হচ্ছে। বেশ কিছু পথ কুকুরের চিকিতসা করা হয়েছে যেগুলি মধ্যে বেশ জ্বর , বমি, পায়খানা অনান্য লক্ষন রয়েছে। এই লক্ষন গুলির সাথে মিল রয়েছে কেনাইন ডিসটেম্পার রোগের।