লাগামছাড়া আলু বীজের দাম সমস্যা চাষিরা তাদের দাবি সরকার যখন আলুর দাম নির্ধারণ করছে তখন আলু বীজের দাম কেন ন্যায্যমূল্যে বেঁধে দিচ্ছেন না ।
শারদোৎসব শেষে এবার শীতের শুরুতেই শুরু হয়েছে আলুর মরসুম। সাধারণভাবে নভেম্বর থেকেই জোর কদমে আলু চাষের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাজে এবার অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাঁকুড়ার সাধারণ কৃষিজীবি মানুষকে। আলু বীজ, সার, কীটনাশক ও মজুরি খরচ যে হারে বেড়েছে ও বাড়ছে, তাতে আলু চাষে আদৌ লাভ হবে কি না আশঙ্কায় এখানকার চাষিরা।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/990213011448024
চলতি মরশুমে আলু চাষের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলার পাত্রসায়র ব্লক এলাকার বিভিন্ন অংশের যেমন চরগোবিন্দপুর , পাঁচপাড়া মামুদপুর , টাশুলি , নারায়ণপুর , প্রতাসপুর , দক্ষিণ গোবিন্দপুরের চাষীরা জলদি জাতের আলু চাষের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এবছর আলু বীজের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে দিশেহারা অবস্থা তাদের।
বিগত কয়েক বছরের থেকে তিন গুণেরও বেশি দাম বাড়ায় চরমসমস্যায় তারা। ঐ এলাকার আলু চাষীরা জানালেন গত বছর যেখানে ৫০ কেজির প্যাকেট পিছু আলুবীজের দাম ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজারের উপর। এর বাইরে সার, কীটনাশক, সেচ-এসবের খরচ ধরলে বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকার উপর খরচ পড়বে। পরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা তো আছেই। ফলে এতো পরিমান খরচ করে আলু চাষ করা সম্ভব নয় বলেই তারা জানিয়েছেন।
এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকার চাষীদের দাবি, তাদের উৎপাদিত আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে। আর এই মুহূর্তে বীজের দাম যখন আকাশছোঁয়া তখন ঐ একই ভূমিকা পালন করুক তারা। একই সঙ্গে সমবায় সমিতির মাধ্যমে আলু বীজ সরবরাহের দাবিও জানিয়েছেন পাত্রসায়রের আলু চাষীরা।
তবে আলু বীজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে শাসক দলকে দোষারোপ করছে বিজেপি নেতা তথা পাত্রসায়ের মন্ডল 2 সভাপতি তমাল কান্তি গুই।