হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৮ জুলাই : প্রেমিকের ১৫ এবং প্রেমিকার ২৫ । নাবালক ‘স্বামী’র সঙ্গে ঘর করতে চেয়ে তার বাড়ির সামনে ধরনা প্রেমিকার । এমন ঘটনাই দেখা গেল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের গিধিনপুকুর গ্রামে ।
রং নাম্বারে ফোন । তারপর ভালোবাসা, সহবাস এবং শেষে বিয়ে । এখন ধোকা । অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করে প্রেমিক ৷ এমনকি ইসলামীক শরিয়ত মোতাবেকে বছর খানেক আগে তাদের গোপনে বিয়েও হয় । বিয়ের পরেই বদলে যান প্রেমিক বাবাজি ৷ প্রেমিকাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার ৷ এদিকে প্রেমিকাও নাছোড় ৷ ওই ছেলের সঙ্গেই ঘর-সংসার করবে বলে প্রতিজ্ঞা নিয়ে ছেলের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসে রয়েছে । ছেলে ও তার পরিবারের লোকেরা সকাল থেকে বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলে খবর ।
জানা যায়, গিধিনপুকুর গ্রামের বাসিন্দা নৌসাদ আলির ছেলে মাজেরুল ইসলামের(১৫) সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেম করেন বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মিঠাপখোড় গ্রামের বাসিন্দা বাবুল হকের মেয়ে আক্তারি খাতুন(২৫) । এমনকি বছর খানেক আগে তাদের গোপনে বিয়েও হয়েছে বলে দাবি প্রেমিকার । ছেলে মেয়ের একসঙ্গে জয়েন্ট ছবিও রয়েছে ।
প্রেমিকা আক্তারি খাতুন জানান, রং নাম্বারে ফোন কল থেকে দুইজনের মধ্যে প্রেমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে । ছেলের সঙ্গে একাধিকবার সহবাসও হয়েছে । সে তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর মতো ব্যবহারও করেছে । বছরখানেক আগে তাঁর এক আত্মীয়র বাড়িতে গোপনভাবে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেকে তাঁদের বিয়েও হয় । ছেলের পরিবারের লোকেরা তাদের সম্পর্কের কথা সব জানে । এখন ছেলে এবং তার পরিবারের লোকেরা তাকে মানতে অস্বীকার করছে । বুধবার সকালে ছেলের বাড়িতে গেলে ছেলের মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ ।
অপরদিকে ছেলের মা নুরসেবা বিবি জানান, তার ছেলে নাবালক । বয়স ১৫ । তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই । এবিষয়ে এলাকার কেউ জানে না । তাদের যদি বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে কেন কোনও প্রমাণ দেখাতে পারছে না । মাস দুয়েক আগে তাঁর ছেলেকে মেয়েটি ও তার পরিবারের লোকেরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে আটক করে রেখেছিল । পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ।
আক্তারি খাতুনের দাবি, “আমাদের দু’বছরের সম্পর্ক ৷ একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে মাজেরুল ইসলামের সঙ্গে ৷ এমনকি আমাদের বিয়েও হয়েছে । মৌলভী এখন বিয়ের কাগজপত্র দিতে অস্বিকার করছে ।”