দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে পরিবারের সকলকে নিয়ে কাছেপিঠে এক দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। অনেকে মিলে গেলে শীতের আমেজে পিকনিকও করে আসতে পারেন। খুব বেশি দূরে কোথাও যেতে না চাইলে ঘুরে আসুন শ্রীরামপুর থেকে।শ্রীরামপুরের পত্তন কলকাতা উৎপত্তিরও আগে। আঠারো শতকের মাঝামাঝি শ্রীরামপুর হয়ে ওঠে বাণিজ্যনগরী। এখানে পা দিলেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে পুরনো আমলের কিছু স্মৃতি। হুগলি জেলার সবচেয়ে উন্নত একটি শহর হল শ্রীরামপুর।
শিক্ষা আর সংস্কৃতিচর্চার জন্য পরিচিত এ শহর। ঐতিহাসিক এই শহরে এলে মন আর মাথা দুই-ই শান্ত হয়ে যাবে। এ শহরের পা দিলেই কয়েকশো বছর পিছিয়ে যাবেন। এক দিনের ছুটি নিয়ে এখানে ঘুরতে এলে আপনি খালি হাতে যাবেন না। গঙ্গাপাড়ের এই শহরে ড্যানিশ উপনিবেশ চলেছিল প্রায় নব্বই বছর। ওই সময়ে শ্রীরামপুরে তৈরি হয় বিভিন্ন স্থাপত্য। তার কিছু এখনও জীবিত রয়েছে। এখানে দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। সময়ের সরণি বেয়ে দু’শো বছর অতিক্রম করেছে শ্রীরামপুর কলেজ।
এশিয়ার প্রথম মিশনারি কলেজ। প্রথম মিশনারি বিশ্ববিদ্যালয়ও।১৬৬৭ সালে তৈরি হয় রাধাবল্লভ মন্দির। গঙ্গাপারে নির্মিত হওয়ার কারণে পরিচর্যার অভাবে জীর্ণ হতে শুরু করে। পরে অবশ্য ঔপনিবেশিক শাসনকালে এই মন্দির সংস্কার করা হয়। শ্রীরামপুরের ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে এই মন্দিরের সঙ্গে। শ্রীরামপুরে এলে হাতে সময় নিয়ে আসা জরুরি। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দেখতে গেলে সবচেয়ে পুরনো আর পুরীর পরে দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা হয় মাহেশে।