কংগ্রেসের শক্ত ঘাটি চাঁচল বিধানসভা হাতাতে ব্যস্ততা শুরু করেছে ঘাসফুল- পদ্মফুল
ঘনিয়ে আসছে একুশের নির্বাচন।নিজের ভীত শক্ত করতে তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।
এই প্রভাব মালদহের চাঁচল বিধানসভাতেও অব্যাহত ইতিমধ্যেই।
ইন্দিরা আমল থেকে যখন দেখে গরীব হটাও ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঠিক সেই সময় থেকে জাতীয় কংগ্রেস আকড়ে ধরে রেখেছে মালদার চাঁচল বিধানসভা।
বর্তমানে কংগ্রেসেরই বিধায়ক রয়েছেন এই কেন্দ্রে। রাজ্যে ০৯ বছর ধরে ঘাসফুল রাজত্ব করলেও চাঁচল বিধানসভা ছিনিয়ে নিতে পারেননি কংগ্রেসের হাত থেকে।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রে এক সংখ্যাগরীষ্ঠতায় মসনদে রয়েছে পদ্মফুল। সেই ভিত্তিতে চাঁচল বিধানসভাতেও যথারীতি শক্তিশালীর প্রভাব ঘটছে।
তবে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছে অনেকেই। আঞ্চলিক নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে সংখ্যালঘুরাও বাদ পড়ছে না।
বিজেপির হাত শক্ত করতে এগিয়ে আসছে।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মালদহের চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের ৯০ টি পরিবার পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবী করেছেন বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিন মালদা জেলা সংখ্যালঘু মোর্চা সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমের হাতে ধরে এই যোগদান কর্মসূচী সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মসূচীতে হাজির হয়েছিলেন মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম সহ বিজেপি নেতৃত্ব।
যোগদান কারীদের একাংশের অভিযোগ,
দীর্ঘকাল যাবৎ তৃণমূল কংগ্রেস করে আসলেও সেই রকম কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে একাংশের দাবী। রাজ্যে একাধিক প্রকল্পে র বঞ্চিত হওয়ার কারনটা তারা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উপর দায়ী করেছেন। স্বজনপোষন ঘটছে বলে দাবী তাদের।
যোগদানের বিষয় নিয়ে জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম বলেন,
তৃণমূল কংগ্রেসের দূর্ণীতির আখরায় পরিনত হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে শাসকের নেতাদের কাটমানি দিতে হচ্ছে। এই ঘটনায় শিকার হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুরেরাও বলে দাবী তার।
শাসক দলের অত্যাচারে অতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছেনে সাধারণের একাংশ।একুশের বিধানসভায় যোগ্য জবাব দিতে তৃণমূল দল ছেড়ে
তারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে একেএকে।
এবিষয়ে চাঁচল ১ নং ব্লক কমিটির নবনিযুক্ত সভাপতি শচ্চীনানন্দ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি নিজেরা নিজেদের লোক দের কে নিয়ে যোগদান কর্মসূচী করাচ্ছেন। সংখ্যালঘু বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালানোর চেষ্টা করছে। যোগদানের বিষয়টি পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন তিনি।
তৃণমূল সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য এই করোনা অতিমহামারীতেও মানুষের পাশে থেকে কাজকরে চলেছে।
একাধিক প্রকল্প বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। কর্মসাথী প্রকল্পে বেকার যুবক যুবতী দের ঋন দিয়ে স্বনির্ভর করার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল সুপ্রিমো।
সেই অবদান শুধু নয়। মানূষ মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নে সামিল হতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যোগ্য জবাব দিবে আপামর বাংলার মানুষ।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চাঁচল ৪৫ নং বিধানসভার জাতীয় কংগ্রেস পরিচালন করেই আসছে। তাদের হাত থেকে আদৌ কি ঘাসফুল পদ্মফুল ছিনিয়ে নিতে পারবে? সেটা একুশেই বলবে?