🐟লইট্টা বা ল্যোটে মাছ, ইংরেজিতে বলা হয় #Bombay_Duck। এর বিজ্ঞান সন্মত নাম হল Harpadon nehereus কিন্তু শুনতে হাঁস মনে হলেও এটি আসলে মাছ ই । আসলে বৃটিশদেরই দেয়া এই নাম। বৃটিশ আমলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে লইট্টা বা ল্যোটে-শুটকির মালগাড়ি মেইল ট্রেনে বোম্বে আসতো। বৃটিশরা এই লইট্টা শুটকির চালানকে বলতো ‘মেইল’ বা ‘ডাক’। সেই থেকে ‘বোম্বে ডাক’।
🐟একটা সময় ছিল যখন সমগ্র ইংল্যান্ডে ১৩ টন লোটে মাছ খাওয়া হত । কিন্তু ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের ভারত থেকে আমদানি করা এক ব্যাচ লোট্যেতে ( Bombay Duck) সালমোনেল্লার সংক্রমণ পাওয়া যায় । এর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তরফে ভারতের উপর লোটে মাছ এবং অন্যান্য সিফুডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় । ভারতীয়দের রান্নার করা লোটের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী David Delaney এই মাছের আমদানির নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চার বছর প্রচার (ক্যাম্পেনটির নাম ছিল “save Bombay Duck”)করেন , ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় হাইকমিশনের দারস্থ হন । পরে অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা ইংল্যান্ড তুলে নেয় একটি শর্তে, লোটে মাছ যেন ভারতে “European Commission approved Packing station এ HACCP দ্বারা সংরক্ষণ করা হয় এবং তবেই সেটি আমদানিযোগ্য পণ্য হিসেবে গণ্য করা হবে।
উপকারিতা:
১) ল্যোটে মাছে রয়েছে অতি উপকারী ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলোকে পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্যে লইট্টা মাছে থাকা ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিডের কাজ বহুমাত্রিক যেমন, অতিরিক্ত রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিহত করা, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের লেভেল কমানো, রক্ত-সঞ্চালন বাড়ানো ইত্যাদি।
২) দামে স্বস্তা হলেও পুষ্টিতে ভরপুর এই মাছ। ল্যোটে মাছ প্রোটিনে ভরপুর। যখন এই মাছের শুটকি করা হয়, তখন এই প্রোটিনের পরিমান আরো বৃদ