মিঠুন চক্রবর্তী,বলেছেন আম্বড়িস কে জে তুই সেটে থাকলে আমার ভয় লাগে ।তুই আর অত খাস না ।হা সম্প্রীতি একটি সাক্ষাৎ কারে এমনই কথা জানালেন টিভি সিরিয়াল ক্ষত পটকা ওরফে অ্যাম্বরিস।প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীর আগামী ছবি ‘প্রজাপতি’। সেখানেই মিঠুন-অম্বরীশ শ্বশুর-জামাই। ছেলে দেব, মেয়ে কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতি দিন শ্যুট শেষে একটাই কথা, ‘‘কী ভাল অভিনয় করিস! তুই সেটে থাকলে আমার খুব ভয় করে।’’মিঠুন দা কে প্রশ্ন করলেন আপনি নিশ্চয়ই ভীষণ মেপে খাওয়া-দাওয়া করতেন?’’ উত্তর শুনে থমকে গিয়েছেন। মিঠুন চক্রবর্তীর সদর্প ঘোষণা, ‘‘ডায়েট! কোনও দিন করিনি। আমি তো সেটে কুকুরের মতো খেতাম! আর রোজ সকালে মিউজিক চালিয়ে টানা অনেক ক্ষণ নাচতাম। মেদ জমতেই পারত না।’’ মিঠুনের সেই খাওয়া এখন নামমাত্র।
স্যান্ডুইচ, ফল, মুড়িতে এসে ঠেকেছে।প্রশ্ন ছিল ‘পটকা’র কাছে যে মিঠুন দা মানুষ টা কেমন ?উত্তরে বলেছেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে সেই যে প্রশংসা করতে শুরু করেছেন, সেই প্রশংসা থামছেই না। একটা শট দিয়ে আমার থেকে টাইমিং জেনে নিচ্ছেন! বলছেন, তুই, খরাজ সেটে থাকলে খুব ভয় পাই রে। তোরা এত ভাল অভিনয় করিস! বাকি সময় আড্ডা। আমিও উত্তর কলকাতার ছেলে। শুনেই কী আনন্দ মিঠুনদার।
রকবাজি থেকে রাস্তার রকমারি খাওয়া— সব খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছেন। মিঠুন দা তার অন স্ক্রিন জামাই অর্থাৎ আম্বোরিস কে পরামর্শ দিলেনপাঁঠার মাংস একদম খাবি না। হজম হতে সময় নেয়। খুব ভারী। তোকে আরও ভারী করে দিচ্ছে।’’ এখানেই শেষ নয়। তার পরেই ‘মহাগুরু’র পরামর্শ, ‘‘রোজ তেঁতুলগোলা জল খা। এতেও বাড়তি মেদ দ্রুত ঝরে। তুই আরামসে অনেকটা ঝরে যাবি।’’ বাধ্য ছেলের মতো ঘাড় নেড়ে সায় দিয়েছেন পর্দার ‘জামাই’ অম্বরীশ ভট্টাচার্য!