মালদা ৫ অগষ্ট :জোটে ধস ! মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে সিপিআইএম ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ প্রধান সহ পাঁচ শতাধিক কর্মীর । পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল । মিথ্যা মামলায় পুলিশের ভয় দেখিয়ে এই যোগদান বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের । এই যোগদান নিয়ে শুরু হয়েছে কংগ্রেস তৃণমূলের রাজনৈতিক তরজা ।
২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর থেকেই ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে মালদা জেলায় ৷ বৃহস্পতিবার ফের ভাঙন দেখা গেল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে কংগ্রেস ও সিপিআইএম শিবিরে ৷ বিরোধী শূন্য হল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত । সিপিআইএমের দখলে থাকা পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল । খুশিতে মিষ্টি মুখ করালেন ব্লক সভাপতি ।
জানা যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সিপিআইএম পরিচালিত মালিওর-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তরিনা খাতুন, কংগ্রেস দলের উপ-প্রধান দিলিপ দাস ও কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গৌতম মহলদার সহ কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সদস্য দুই জন ও সিপিআইএম দলের পঞ্চায়েত সদস্য একজন সহ মোট ছয়জন এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ কর্মী এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বলে খবর । মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা-৯, তার মধ্যে তৃণমূল-৪, কংগ্রেস-৩, সিপিআইএম-২ ছিল । তৃণমূল সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করায় পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল ।
এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দক্ষিণ তালসুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যোগদানকারীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ হজরত আলী । তিনি বলেন, “একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যবাসী যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন,তাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখে তৃণমূলে যোগদান করেছেন ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের অন্তর্গত ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮ টি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ছিল । একমাত্র মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিআইএম পরিচালিত ছিল ।মমতা ব্যানার্জির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধান, উপ প্রধান সহ মোট ছয়জন ও প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন ।”
যোগদানকারী সিপিআইএম পঞ্চায়েত প্রধান তরিনা খাতুন বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নের কাজে সামিল হতে তৃণমূলে যোগদান করলাম ৷”
কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল মাতিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চাই । মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম ।”
অন্যদিকে, কটাক্ষের সুরে জেলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম বলেন, “পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এই নির্লজ্জ সরকার একের পর এক পঞ্চায়েত দখল করছে । মালিওর ২ পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে প্রধান বামফ্রন্টের ছিল এবং আমরা কংগ্রেস সমর্থন করেছিলাম । কিন্তু তৃণমূল পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের এবং সিপিএমের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করিয়েছে । এর আগে একই ঘটনা সুলতান নগর এবং মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ঘটেছে । ওরা তৃণমূলে গিয়ে যদি ভালো থাকতে পারে তাহলে থাকুক ।”