বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে কিশোরীকে ডেকে আনেন একজন মা। ভারতের দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। কিছু খাবারের আয়োজন করেন মা’টি। সেই খাবারে মাদক মেশান তিনি। মাদকযুক্ত খাবার খেয়ে অচেতন হন কিশোরীটি। সেই অচেতন কিশোরীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত মায়ের ছেলে। অবশেষে এমন অভিযোগে মামলা করার পর মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
পুলিশের কাছে করা অভিযোগে জানানো হয়, অভিযুক্ত যুবকের মা ঐ কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে আনেন। তারপর আদর করে খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ান। এতে চেতনা হারালে তাঁর ছেলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ঐ কিশোরীর সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানে বিউটিশিয়ান কোর্স করতেন অভিযুক্তের মা। হরিদেবপুরের বাড়িতে তার একটি পার্লারও রয়েছে। গত অক্টোবরে মাসে কালীপুজো উপলক্ষে ঐ কিশোরীকে নিমন্ত্রণ দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনেন অভিযুক্ত নারী। এরপরই খাবারে মাদক মিশিয়ে দেন। খাবার খেয়ে কিশোরী অচেতন হলে তাকে ঐ যুবক ধর্ষণ করেন।
পুলিশ বলছে, তিনদিন ধরে চলে নির্যাতন। তিনদিন পর কোনো রকমে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী কিশোরী। বাড়ি ফিরে এক আত্মীয়কে সব কথা জানান তিনি। এরপর এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা করান কিশোরীর। প্রথমে সামাজিক লজ্জার কারণে ধর্ষণের অভিযোগ করতে চায়নি পরিবার। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।