রাজতন্ত্রের অবসান ঘটেছে সে অনেকদিন আগেই। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয় দেশ। তবে রাজা বা রাজতন্ত্র নেই বলে রাজবাড়ির নিয়ম কানুন সব বিসর্জন যাবে? তাই আবার হয় নাকি। তাইতো শতাব্দী পেরিয়ে আজও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মল্ল রাজবাড়িতে মল্ল রাজাদের প্রাচীন রীতিনীতি মেনে চলার পাশাপাশি নিষ্ঠাভরে আজও চলে আসছে দেবী মৃন্ময়ীর আরাধনা।
বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা ‘মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। ৩০৩ মল্লাব্দে, বাংলার ৪০৪ সালে এই পুজোর প্রচলন করেন মহারাজা জগত মল্ল। এখনও প্রথা মেনে ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে শুরু হয়ে যায় পুজো। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল ‘বড় ঠাকরুনে’র পুজো।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/372729687211811
তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে দর্শক সাধারণের উপস্থিতিতে বাধ সেধেছে। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও সীমিত সংখ্যক লোককে নিয়েও ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।