প্রাচীনকাল থেকেই বাস্তুশাস্ত্র মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাই গুরুজনেরা সবসময় শুভ ও অশুভ দেখে কোনও কাজ শুরু করেন। রান্নাঘর আমাদের বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই রান্নাঘরের বাস্তু হতে হবে নিখুঁত।বাস্তুশাস্ত্রে শুধু রান্নাঘরের বাস্তু নিয়ম, খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে খাওয়ার নিয়মও বলা আছে। খাবার পরিবেশনের সময় বাস্তু নিয়মের প্রতি যত্নবান হতে হবে, নয়তো বাড়িতে দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক সঙ্কট, এমনকি অশান্তিও দেখা দিতে পারে।
বাস্তুশাস্ত্রের এই বিষয়টি নিয়ে পণ্ডিত ইন্দ্রমণি ঘনস্যাল জানিয়েছেন, শুভ এবং ধর্মীয় কাজে ৩ সংখ্যাটি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তাই খাবারের প্লেটে ৩টি রুটি রাখাও অশুভ। ৩টি রুটি এক প্লেটে রাখলে ঘরে দারিদ্র্য আসে।এমন বিশ্বাস আছে, মৃত ব্যক্তির স্মৃতিতে যে খাবার নিবেদন করা হয়, সেই থালায় ৩টি রুটি দিতে হয়। আর তাই পণ্ডিতের ব্যাখ্যা, জীবিত ব্যক্তির খাবার পরিবেশনের সময় প্লেটে একবারে সেই সংখ্যার রুটি না রেখে দু’টি রুটি রাখা উচিত। যিনি খাবার পরিবেশন করছেন এবং যিনি খাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বৈরিতার সম্পর্ক তৈরি হয় বলেও মনে করা হয়।বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী, রুটি সবসময় থালায় করে নিয়ে যাওয়া উচিত। অনেকেই হাতে নিয়ে পরিবেশন করেন। হাত দিয়ে রুটি পরিবেশন করা অশুভ বলে মনে করা হয়।
এতে বাড়ির সুখ-সমৃদ্ধি চলে যেতে পারে। কাউকে খাবার পরিবেশন করার সময়, রান্নাঘর থেকে থালায় করে রুটি আনুন।একইভাবে বাসি আটার রুটি বানানোও শাস্ত্রে অশুভ বলে বিবেচিত। কেউ কেউ পরে অবশিষ্ট ময়দা ব্যবহার করেন, যা উপযুক্ত নয়। এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তি আসে। বাস্তু নিয়ম অনুসারে, সবসময় টাটকা ময়দা দিয়ে রুটি করুন।