ভাতাড়- সেখ মিলন ১০ ই জুন;-,দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে নয় ঘন্টার পর পুকুর থেকে উদ্ধার হল ভাতাড়ের চন্ডীপুর গ্রামের কিশোরের নিথর দেহ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগের দিন সাঁতার শিখতে গিয়ে অকালে ঝরে গেল একটি তরতাজা কিশোরের প্রাণ।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজিব সাঁতরা। এবারের বামুনারা স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। রাজিবের প্রাপ্ত 339। প্রায় 68%।পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে শেষ পরিণতি। হার মানতে হলো তাকে। নিজের চোখে দেখা হলো না উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। স্বপ্নভঙ্গ পরিবারের।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ভাতারের চন্ডীপুর গ্রামের একটি পুকুরে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে স্নান করতে নামে রাজিব। সাঁতার শিখতে পুকুরের এপার ওপার করতে গিয়ে আচমকা পুকুরের জলে তলিয়ে যায় সে। খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষজন ছুটে গিয়ে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে পুলিশ দমকল বিভাগ ও পূর্ব বর্ধমান জেলার সিভিল ডিফেন্স এর টিম। ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেলেও ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে খবর দেওয়া হয় আসানসোল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের দলকে। রাত্রি নটা নাগাদ বিপর্যয় মোকাবেলার দল উদ্ধার করে রাজিব সাঁতরার নিথর দেহ। তড়িঘড়ি ভাতাড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে রাজীবকে। শুক্রবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বাড়িতে পৌঁছান ভাতাড়ের বিধায়ক মান গোবিন্দ অধিকারী সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে বিশিষ্টজনেরা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস বিধায়কের।