হাসপাতাল থেকে বার করার সময় দিন কয়েক আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (কাতু)-কে লক্ষ্য করে এক মহিলা জুতো ছুড়েছিলেন। ঠিক তার উল্টো দৃশ্য দেখা গেল শুক্রবার।
তিন তলার এজলাসে তখন চলছে শুনানি। লিফট থেকে পার্থকে নামাতেই সাদা শার্ট, মেরুন ট্রাউজার্স পরা এক জন ছুটে এসে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। তার পর তাঁকে ধরে এগিয়ে দেন এজলাসের দিকে।
এজলাস থেকে বেরোনোর পর আবারও পাশে এসে দাঁড়ান সেই সাদা জামা পরা ব্যক্তি, পায়ে লাল জুতো, যিনি এজলাসে ঢোকার সময় পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন নেতাকে। লিফট পর্যন্ত পার্থের পাশেই হেঁটে গেলেন। ওঠার মুখে তাঁকে আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।তিনি পার্থের দীর্ঘ দিনের অনুগামী।
নাম দেবকুমার রায়। বাড়ি হিন্দ মোটরে।তিনি জানান সেই ১৯৯৬ সাল থেকে পার্থকে চেনেন। শুক্রবার আদালতের বাইরে দেবকুমার বললেন, ‘‘দলই সর্বোচ্চ। তবে ব্যক্তি পার্থ দাকে চিনি সেই গোড়ার দিন থেকে।অনেক স্নেহ পেয়েছি। পার্থদার বিপদের দিনে না এসে পারলাম না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেমন আছেন? বললেন, ভাল নেই। আমি বলি, চিন্তা করবেন না। জগন্নাথ রক্ষা করবেন। আক্ষেপ করে দাদা শুধু বললেন, ‘জগন্নাথ প্রভু তো কিছুই করছে না রে।’ লিফট এসে গেল।
আমি বললাম, আমি আছি দাদা।’কিছুদিন আগেই শিরোনামে এসেছে তাকে হাসপাতাল থেকে বেরোতেই এক মহিলা জুতো ছুড়ে মারে ,হয়তো তিনি এই সময় এইরকম ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ।তবে আজকের এই ঘটনায় তিনি বা সবাই বুঝতে পারছেন তিনি শুধুই যে মানুষের টাকা মেরেছিলেন(প্রমাণিত নয়) তা নয় তিনি অনেক মানুষেরও মন জয় করেছিলেন এটি হলো তারই প্রমাণ।