মুদিখানার দোকান থেকে এখন বীরভূমের শেষ কথা, অনুব্রত মণ্ডলের উত্থান কি ভাবে হলো?
ভাগ্যের উত্থান পতন কাকে বলে তা অনুব্রত মণ্ডলকে না দেখলে টের পাওয়া যায় না। এই অনুব্রত মণ্ডল যার নির্দেশে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খায় সেই বেতাজ বাদশা আজ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার। একসময় তিনি ছিলেন সামান্য এক মুদিখানার দোকানের মালিক।
বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু পট্টির বাসিন্দা হলেও তার আসল বাড়ি বীরভূমের নানুরের হাট সেরান্দি গ্রামে। অনুব্রত মণ্ডলরা তিন ভাই। যাদের মধ্যে তিনি হলেন মেজ ভাই। অষ্টম শ্রেণী পাস করার পর তিনি তার বাবার মুদিখানার দোকান চালানোর দায়িত্ব নেন। মুদিখানার দোকান চালানোর পাশাপাশি তাদের যে একটি গ্রিলের কারখানা ছিল সেটিও তিনি সামলাতেন।
দলীয় কাজে বীরভূমে এসে অনুব্রত মণ্ডল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় হয়। পাশাপাশি তখন থেকেই ডাকাবুকো স্বভাবের জন্য অনুব্রত মণ্ডল আলাদাভাবে নজর কেড়েছিলেন জেলা তথা রাজ্য নেতৃত্বের। পরে অনুব্রত মণ্ডল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা লাভ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক গৌতম বসুর মাধ্যমে। ধীরে ধীরে এই অনুব্রত মণ্ডলই পরিণত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদরের কেষ্টতে।অনুব্রত মণ্ডল যখন জাতীয় কংগ্রেস করতেন সেই সময় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
২০০১ সালে সূঁচপুর ঘটনায় আলাদাভাবে নজর কাড়া অনুব্রত মণ্ডল ২০০৩ সালের পর তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান। অনুব্রত মণ্ডল জেলা সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর বামেদের লাল দুর্গ হিসাবে পরিচিত বীরভূমে নিজের দাপট দেখাতে শুরু করেন এবং ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যের শাসক দল হিসেবে পরিণত হলে দোর্দন্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতায় পরিণত হন অনুব্রত মণ্ডল।