গঙ্গানদী গর্বে তলিয় গেল কয়েকশো মিটার বাঁধ সংলগ্ন জমি। অতঙ্কে মালদার ভুতনি চরে লাক্ষাধিত মানুষ । বর্তমান গঙ্গানদী বাঁধের গাঁ দিয়ে বয়ছে ।
গত বৃহস্পতিবার বাত ভুতনি থানার হিরানন্দ্পুর এলাকার কশিঘাটে পুনরায় ভাঙ্গনের তীব্রতা
ঘটনা সামনে আসতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে। বিশাল আয়তনের ভাঙন হওয়ায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের হিরানন্দপুর অঞ্চলের কোশিঘাট এলাকায়।যদিও তৎপরতার সাথে শেষ দপ্তরের তরফে ভাঙ্গন রোধ করতে জরুরী কালীন পরিস্থিতিতে বালির বস্তা এবং বাঁশ দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।
এই ভাবে ভাঙ্গন রোধের কাজ করে নদী ভাঙ্গন থামা সম্ভব নয় অভিযোগ এলাকাবাসীর। ব্যাপক হারে ভাঙ্গন হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর।
গত ১১ সেপ্টেম্বর এই এলাকাতেয় ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে এসেছিল । জরুরী পর্যায়ে ভাঙ্গন রোধের কাজ করেছিল সেচ দপ্তর । তবে সেই কাজও এখন নদী গর্ভে ।
হিরানন্দপুর অঞ্চলের কেশবপুর ও কোশিঘাট এলাকায় বয়ে গিয়েছে গঙ্গা নদী। বরাবরই এই অঞ্চল এলাকায় ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে আসে প্রতিবছরই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সেচ দপ্তরের তরফে প্রায় 7 কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গন রোধের কাজ হয়েছে কয়েকমাস পূর্বে রাজকুমার টোলা ও টেনুটোলা গ্রামে । গত কাল সন্ধায় টেনুটোলার পার্শ্ববর্তী ব্যাপক হারে ভাঙ্গন হয়।ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০০ মিটার বাঁধ সংলগ্ন জমি এবং বড়ো বড়ো গাছ তলিয়ে গিয়েছে ।
আর এই ঘটনা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সঠিক সময় সঠিকভাবে কাজ হলে এই ভাঙ্গন হতো না বলে মনে করছে এলাকাবাসী।তবে হঠাৎই এই ভাঙ্গনের ফলে বাঁধের গোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে নদী।এই পরিস্থিতিতে ভাঙ্গনরোধে বাঁধ আটকাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা সাথে কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর।বালির বস্তা এবং বাঁশ দিয়ে ভাঙা অংশে ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।তবে এভাবে যে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়।তা বিগত দিনের ভয়ঙ্কর গঙ্গার রুদ্ররূপের সাক্ষী এলাকাবাসী। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় নদী-তীরবর্তী পরিবারগুলি বাড়ির সামগ্রী ধীরে ধীরে অন্যত্রে সরিয়ে ফেলতে শুরু করে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুদাম মন্ডল ,বিশ্বদেব মন্ডল,শ্রীকান্ত মন্ডল ,নকুল মন্ডলরা জানান,প্রতি বছরই এই সমস্ত এলাকাজুড়ে ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে আসে। আর সেই ভাঙ্গন রোধের কাজ চলছিল হঠাৎই বিশাল অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় বাঁধের গোড়ায় পৌঁছেছে নদী। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এবার কোশিঘাট এলাকতে ব্যাপক হারে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে । গত ১১ সেপ্টেম্বর এই এলাকাতে ভাঙ্গন রোধের কাজ করেছিল প্রশাসন । বর্তমানে সেই কাজও নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে।
ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়লে পথ থেকে সর্বস্ব গ্রাস করবে নদী। আমরা চাই দুর্নীতি মুক্ত কাজ করে ,প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আমাদের রক্ষা করুক।
এই প্রসঙ্গে মালদা জেলা পরিষদ সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল জানাই একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ তবুও আমরা শেষ দপ্তরের তরফ থেকে তৎপরতার সাথে ভাঙন রোধের কাজ করেছি। ভূতনির কোশিঘাট এলাকাতেও সেভাবেই রাত থেকে জরুরি পর্যায়ে কাজ চলছে । কিছু দিনে আগেও ভাঙ্গন হয়েছিল । আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে । প্রশাসন তৎপর আছে নদী ভাঙ্গন রোধ করতে ।