রাজ আমলের সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো পুজোয় করোনার থাবা।করোনা আবহের জন্য মালদা জেলার চাঁচল রাজ ঠাকুরবাড়ির এবছরের দুর্গা পুজোয়, মন্দিরের মূল দ্বার বাসের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাই পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপের গর্ভগৃহে ঢুকে পুষ্পাঞ্জলী দিতে পারবেন না ভক্তরা।
রাজ আমলের তিনশো বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পুজো সমস্ত নিয়ম রীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে করা হয়। চাঁচল রাজবাড়ী থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপ। কথিত আছে চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্রর রায়চৌধুরী আমলে চণ্ডীমণ্ডপের উল্টোদিকে সতীঘাট শ্মশানে রাজপরিবারের এক মহিলা, স্বামীর চিতায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
ঐতিহ্যের পুজোয় করোনার থাবা ( মালদা )
ঐতিহ্যের পুজোয় করোনার থাবা ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Dienstag, 13. Oktober 2020
স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাজা রামচন্দ্র সতীঘাট থেকে এক অষ্টধাতুর নির্মিত দেবীপ্রতিমা উদ্ধার করেন। সেই প্রতিমা এখনো স্বমহিমায় বিরাজমান চাঁচল রাজ বাড়ির লাগোয়া ঠাকুরবাড়িতে। ষষ্ঠীর 12 দিন আগে কৃষ্ণা নববীতে দেবীর আরাধনা শুরু হয় চণ্ডীমণ্ডপে। পুরনো প্রথা মেনে মহা সপ্তমীর সকালে অষ্টধাতুর মূর্তি ঠাকুর বাড়ি থেকে ঢাকঢোল সহকারে রুপো চাঁদির ছত্রছায়ায় পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপে আনা হয়। চলে চারটে দিন ধুম ধাম করে পুজো।
অষ্টমীর দিন কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত হয় মন্দির চত্বর।এই পুজো বর্তমানে পরিচালনা করে ট্রাস্টি বোর্ড। যার বাজেট এই দুর্মূল্যের বাজারে মাত্র ৯ হাজার টাকা। যার ফলে হিমশিম খেতে হয় পুজো উদ্যোক্তাদের।
তাই স্থানীয় বাসিন্দা ও চাচোল বাঁশির সহযোগিতায় একটি কমিটির মাধ্যমে এই পুজো পরিচালিত হয়। কিন্তু এবার করোনা অতি মারির কারণে মন্দিরের সামনে বাসের ব্যারিকেড করা হবে। সেখান থেকেই ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন। পাশাপাশি, সমস্ত জায়গা স্যানিটাইজ করা হবে, মানা হবে সামাজিক দূরত্ব। সরকারি নিয়ম রীতি মেনে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাঁচলের পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপ পূজা কমিটি।