১৯৯১ সালে রাজস্থানের চিতোরগড় জেলার নিমবহেরা নামের ছোট্ট শহরে জন্ম আসিফের। নিমবহেরা শহরটি সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এখানেই একটি সিমেন্ট তৈরির কারখানায় কাজ করতেন আসিফের বাবা।ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক না থাকলেও অভিনয় নিয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল আসিফের। পাড়ায় কোনও অনুষ্ঠান হলে তিনি সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকতেন। এমনকি, স্কুলেও কোনও নাটক হলে আসিফ তাতে অংশগ্রহণ করতেন।এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় স্কুলে একটি নাটক হয়েছিল।
স্কুলের প্রার্থনার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন একটি বাচ্চার প্যান্ট খুলে যাবে— নাটকে এমন দৃশ্যই মঞ্চস্থ করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের কেউই এই দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি ছিল না। আমি নির্দ্বিধায় এই দৃশ্যে অভিনয় করেছিলাম। ছোটবেলা থেকেই দর্শকের মুখে হাসি ফোটাতে ভালবাসতাম।’’ভবিষ্যতে কোনও চাকরি নয়, অভিনয়ই করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তখনই।স্কুলে পড়তেই ছোট পর্দায় রাজু শ্রীবাস্তবের পারফর্ম্যান্স দেখে অভিভূত হয়েছিলেন আসিফ। অভিনয়জগতের সঙ্গে কেউই যুক্ত নন। মুম্বইয়ে যাবেন বলে এক দিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আসিফ।
সেই সময়েই আসিফের বাবা মারা যান। মায়ের দেখাশোনা এবং দুই ভাইবোনকে বড় করতে তিনি শহরেই বিভিন্ন কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর মন থাকত অভিনয়ের দিকে। আসিফের পরিবারের সকলেই চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার।একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে মুম্বইয়ের মতো শহরে কোনও ভাল বেতনের চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আসিফ কখনও হোটেলের ওয়েটার, কখনও শপিং মলে কাজ করেছেন। কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন জায়গায় অডিশনও দিতেন।মুম্বইয়ে একটি ঘরে আরও ন’জন বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন তিনি। ঠিকানা পেয়ে আসিফের মা সেখানে পৌঁছন। আসিফকে অভিনয়ে নামার জন্য অনুপ্রাণিতও করেন তিনি।