১০ টাকায় ভাত, পাঁচমেশালী তরকারি, সঙ্গে মুরগির মাংসের ঝোল। আৎকে উঠবেন না! ভাবছেন আজকের এতো দূর্মূল্যের বাজারে কিভাবে তা সম্ভব। ভাববেন কানের কোন ব্যমো হয়েছে , না আপনি ঠিকই শুনেছেন। এমনই অবাস্তব কে বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে এনেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হেঁশেল। বামেদের দ্বারা পরিচালিত জনসাধারণের হেঁশেল। এখানে বিনামূল্যে খাবার পাবেন করোনায় সংক্রমিত রা বাড়িতে বসে। তাদের হাতে বিনামূল্যে খাবার তুলে দেবেন পাড়ায় পাড়ায় থাকা বাম কমরেডরা।
এমনই এক রান্নাঘরের উদ্বোধন হয়ে গেল আজ বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে। উদ্বোধন করলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র। এরপর থেকে প্রতিদিনই গরিব খেটে খাওয়া মুটে, মজদুর, রিক্সাওয়ালা ঠেলাওয়ালা, পরের বাড়ীতে পরিচারিকার কাজ করা এমন সকলেই । সকাল বেলায় দশ টাকার কুপন কাটিয়ে বেলা বারোটার পর স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজনের । প্রতিদিনই প্রায় দু’শো জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলেই জানা গেছে ।
করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে যারা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন পরিবারের কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে এমন হেঁশেলের । এমনই দুটি হেঁশেল আগেই সূচনা হয়েছে বাঁকুড়া এবং সোনামুখী এলাকায় । এখানে স্থানীয় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন নামমাত্র দশ টাকার বিনিময়ে টোকেন সংগ্রহ করতে পারবেন , বেলা বারেটার পর মিলবে প্যাকেটজাত রান্নাকরা খাদ্য সামগ্রী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি । এই খাবার সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খেতে পারবেন পরিবারের সকলেই ।
পোড়ামাটির হেঁশেল ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Montag, 14. September 2020
রাজনীতির রং দেখে খাবার দেওয়া হবে না । খাবার দেওয়া হবে তার প্রয়োজনীয়তা দেখে । এই অতিমারি মোকাবিলা করতে হবে ডান বাম গেরুয়া সবুজ নীল হলুদ সকলে মিলে হাতে হাত রেখে লড়াই করতে হবে । রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় । এটা রাজনীতি জায়গা বা সময় নয় এমনটাই দাবি বাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের ।
করোণা পরিস্থিতিতে লকডাউন এর জেরে বন্ধ রয়েছে কাজ কারবার । তার ওপর শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে একপ্রকার বিনাআহারে অর্ধাহারে দিন কাটছিল । মাত্র দশ টাকার বিনিময়ে এই খাবার খেতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষজন ।