বাংলা তথা সারা ভারতের অভিনয় জগতে নক্ষত্রপতন। ৪০ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে হার মানলেন ফেলুদা। চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়। প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ আপামর বাঙালি থেকে সিনেমাপ্রেমী, সংস্কৃতিমনস্ক সকল মানুষ। এদিন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে প্রয়াত অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা এক ইতিহাসকে হারালাম। যে শিখরে তিনি উঠেছিলেন, তার জন্য অনেক অধ্যবসায়, লড়াই লাগে।রবিবার রাত থেকেই অচল হয়ে গিয়েছিল মস্তিষ্ক।
ব্রেন ডেথ হয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। হাসপাতালের তরফে সোমবার বেলা ১২টা বেজে ১৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করা হয়। রবিবার রাত থেকেই উত্তোরত্তর খারাপ হচ্ছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতি। চিকিত্সায় আর সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/649581089050085
সোমবার সকাল থেকেই হাসপাতালে একের পর আসতে শুরু করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কমিশনার অনুজ শর্মা প্রমুখ।এদিন বেলভিউ হাসপাতালেই অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর বেলভিউতে যখন ওনার সঙ্গে শেষ দেখা ও কথা হয় আমার, তখন বেশ ভালোই লেগেছিল ওনাকে।
ভেবেছিলাম ভালো হয়ে যাবেন উনি। কিন্তু শেষ কদিন ধরে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। আজ আমরা ফেলুদাকে হারালাম।”