পূর্ব বর্ধমান, ৫ অগষ্ট : ১৯ দিন পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল যুবতিকে । নাম শুক্লা রজক । বয়স ৩৮ । যুবতির বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার মির্জাপুর দেওয়ান দিঘিতে । “মানুষ মানুষের জন্য” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে আজ তাঁকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্লা ভবঘুরে এবং মানসিক ভারসাম্যহীন । গত ১৭ জুলাই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনও এক সংস্থার মাধ্যমে ভর্তি হন তিনি । আজ “মানুষ মানুষের জন্য” স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি পিন্টু শেখকে ফোন করেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । খবর পেয়েই পিন্টু শেখ বর্ধমান সদর থানার আইসি সুখময় বাবুকে ফোন করেন । এরপরই বর্ধমান থানা থেকে মহিলা কনস্টেবল সহ পুলিশ ভ্যান পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালে ।
“মানুষ মানুষের জন্য” স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি পিন্টু শেখে বলেন, “গতকাল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আমাদের সংস্থাকে ফোন করা হয় । এরপরই আমরা বর্ধমান থানায় যোগাযোগ করি । থানার তরফে এক মুহুর্ত দেরি না করে পুলিশের ভ্যান ও ২ দুজন মহিলা কনস্টেবল দিয়ে আমাদের সহায়তা করেন । এরপর আমরা পুলিশের সহায়তা শুক্লা রজকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দি । পাশাপাশি আমরা পরিবারকে খুব তাডা়তাড়ি বাড়ি তৈরির আশ্বাস দিয়েছি । আমরা এই ব্যাপারে লোকাল পার্টি ও বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করব । যেন এই পরিবার খুব তাডা়তাড়ি সাহায্য পান ।”
পুলিশের সহায়তায় যুবতিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানায় শুক্লা রজকের মা কল্যাণি রজক ।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ১৯ দিন ধরে হাসপাতালে ভরতি ছিল । এখন সে অনেরটাই সুস্থ । আজ পুলিশের সহায়তায় আমরা মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুব খুশী ।