পুরীর দুরন্ত এক্সপ্রেসে (Puri Duronto Express) দুঃসাহসিক লুঠ (Robbery)। রেল অ্যাটেনডেন্ট ও প্যান্ট্রি কার কর্মী সেজে চলন্ত ট্রেনে লুঠপাট। পুজোর মুখে পুরী ঘুরতে গিয়ে সর্বস্ব লুঠ বারাসাতের ব্যবসায়ীর। সপরিবারে পুরী যাওয়ার জন্য গতকাল রাতে পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেসে ওঠেন ব্যবসায়ী শুভজিৎ আচার্য। উঠেছিলেন A1 কামরায়। তাঁর অভিযোগ, রাত ২টোয় স্ত্রীর চিত্কারে ঘুম ভাঙে। দেখেন, ২ দুষ্কৃতী ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছে।
স্ত্রী বাধা দিলেও, তারা ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। B1, B3, B4 কামরাতেও লুঠপাট চলেছে বলে অভিযোগ। ভুবনেশ্বর আসার আগে দেড়ঘণ্টা ট্রেন ধীরগতিতে চলায় তাঁরা পালিয়ে যায়। রেল অ্যাটেনডেন্টরা দেখেও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। পুরী জিআরপি-তে অভিযোগ জানায় পরিবারগুলি।গত এপ্রিলেও সর্বস্ব লুঠের ঘটনা গটে এক বৃদ্ধ দম্পতির সঙ্গে। হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে ওই বৃদ্ধ দম্পতি নামতেই ওই ঘটনাটি ঘটে। জনবহুল স্টেশন। চারিদিকে সিসিটিভির নজরদারি। সুরক্ষার বেড়াজাল। এরই মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে, ভাবেননি তাঁরা। ভারী মালপত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা।
সাহায্যের নামে বয়স্ক দম্পতির সর্বস্ব লুঠ করে নেয় তারা। রেল সূত্রে খবর, ট্রেনটি ১৩ নম্বর প্লাটফর্মে ঢোকার পর ওই দুজন যখন স্টেশন থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন সেই সময় তিন চারজন যুবক প্লাটফর্মে তাদের ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। সাহায্য করার নামে তাদের টেনে নিয়ে স্টেশনের বাইরে আসে। এরপর দুষ্কৃতীরা তাদের ব্যাগ ছিনতাই করে চম্পট দেয়। ব্যাগে নগদ কুড়ি হাজার টাকা এবং বেশ কিছু সোনার গয়না ছিল বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি। দম্পতির অভিযোগ, ওই ব্যাগে নগদ টাকা ও সোনার গয়না ছিল। যা সবই খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার রাতেই হাওড়া জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই চলে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা।