হুগলি জেলার পর পর এবার বাঁকুড়া জেলাতেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব I
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী, দলের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের ‘এক সাথে চলা’র বার্তা দিয়েও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অন্যতম সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস এক হাত নিলেন দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে। ব্লক তৃণমূল মহিলা ও যুব তৃণমূলের ডাকে কৃষি বিল, জাতীয় সম্পদ বেসরকারীকরণ, মূল্যবৃদ্ধি ও উত্তর প্রদেশের হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদে রানীবাঁধে মহা মিছিল শেষে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মানে সামনে কঠিন লড়াই। আর এই লড়াইয়ের আগে যারা দলবাজি-লবিবাজি করছেন, দল ক্ষমতা থেকে সরে গেলে কিন্তু ঐ চেয়ার থাকবেনা বলেও হুঁশিয়ারী দেন। এর পরেই বলেন, জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এই মঞ্চকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিলেন। আর রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস রানীবাঁধে মিছিল ও সভা করলেন বলে জানান।
রাজনৈতিক উত্তেজনা ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Freitag, 16. Oktober 2020
পরে সাংবাদিকদের মুখো মুখি হয়ে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বলেন, উনি (জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা) শাখা সংগঠনের প্রত্যেক নেতৃত্বকেও এদিনের কর্মসূচীতে আসতে নিষেধ করেছিলেন। আমি প্রত্যেককেই চিঠি করেছিলাম। জেলা সভাপতি কিসে সন্তুষ্ট আমি জানিনা, আর পরোয়া করিনা। মানুষ আমার সাথে ও পাশে আছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ এ দিদিকে ফের মসনদে বসানো।
জেলা সভাপতি ওনার মতো রাজনীতি করছেন, আমরা বিধানসভার দায়িত্বে যারা আছি তারা তাদের মতো রাজনীতি করছি। দলের স্থানীয় বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি, দায়িত্ব প্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্ম্মুর এদিনের কর্মসূচীতে অনুপস্থিতিতে প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বলেন, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কে আসবেন আর কে আসবেননা সেটা তার ব্যাপার