ফিজা ইজাজ অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছিলেন লাহৌরে বসে ।তার কাছে ফোন আসে হ্যালো বলতেই ওই পার দিয়ে আবাজ আসে এক নারির কণ্ঠ ,বলেন তাঁর জন্য খাবার নিয়ে আসার কথা।
সে তো পুরো অবাক মে টির কণ্ঠ শুনে ।কিছু ক্ষণ পর তিনি বাড়ির গেটের বাইরে বেরিয়ে আসেন ৷ আসে তাকে দেখে রীতিমতো তিনি অবাক ।
প্রায় 10 মিনিট কথা চলে তাদের মধ্যে । যানা যায় মে টির নাম মীরাব।এরপর সমস্ত কথা তিনি অর্থাৎ যে খবার কিনেছেন সে শুনছে তার নাম ফিজা। মীরাব বলেন তাঁর প্যাশন, বাইক চালানোর দক্ষতা সবই শোনেন ফিজা ৷ তিনিও লাহৌরেই থাকেন৷ তিনি সকালে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন কোর্স করছেন৷ রাতে তিনিই কেএফসি-র রাইডার ৷ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন লোভনীয় খাবার ৷
কোর্সের খরচ কমাতেই তাঁর এই নৈশ-কাজ ৷ আগামী তিন বছর তিনি এভাবেই সকালে ও রাতে দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে চান ৷ যাতে কোর্সের খরচ বহন করতে পারেন ৷ যাতে পরিবারের ভরসাস্থল হতে পারেন ৷ চালাতে পারেন মায়ের চিকিৎসার খরচ ৷
তিনি সমস্ত কথা শুনে তার পর পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে৷ কিছু ক্ষণ পরে এডিটও করেন নিজের পোস্টবার্তা ৷ জানান, মীরাবের কোর্সের খরচ বহন করছে একটি সংস্থা৷ কিন্তু তিনি কেএফসি-র খাবারবাহক হয়ে কাজ করে যাবেন সংসার ও মায়ের চিকিৎসার খরচের কথা ভেবেই৷