একসময় গিয়ে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। ডগা চেরা চুল নিয়ে নাজেহাল হতে হয়। দূষণ, রোদও কিন্তু এর জন্য দায়ি হয়ে থাকে।অনেকের অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠতে থাকে। আবার কারও কারও চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি যেন থমকে যায়। ছোট চুলও যেমন দেখতে ভালো লাগে, আবার ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার ইচ্ছেও আমাদের অনেকের মধ্য়েই থাকে। দ্রুত লম্বা ও ঘন চুল আপনি কী ভাবে পাবেন? ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কি এই সমস্যা সমাধান সম্ভব?
চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থমকে গেলে কিন্তু আপনার বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
ঘরেই চুলের যত্ন নিন। কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললে ও সঠিক হেয়ার কেয়ার রুটিন পালন করলে চুল লম্বা হবে।চুল রুক্ষ হয়ে ওঠে। এর ফলে ডগা ফেটে যায়। আপনি যদি নিয়মিত চুল ট্রিমিং করেন, তবে স্প্লিট এন্ডও বাদ যায়। ফলে চুল থাকে স্বাস্থ্যকর। দেখতেও ভালো লাগে।নিয়মিত ট্রিমিং করা দরকার। অন্তত ২-৩ মাস পরেই চুল ট্রিমিং করুন। এতে চুলের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আসলে, অতিরিক্ত দূষণ, ধুলো এবং রোদের কারণে চুলের ক্ষতি হয়।
প্রতিবার শ্যাম্পু করার পরে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। এটি আপনার চুলের উপর একটি সুরক্ষার স্তর যোগ করে। চুলের স্বাস্থ্যও হয় দেখার মতো। চুল খুব তাড়াতাড়ি লম্বা হয়।গরম তেল মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হলে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সরবরাহও ঠিক হয়। ফলে চুলের বৃদ্ধিও হয় দেখার মতো। চুলে পুষ্টির কোনও অভাব হয় না।একটি পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিন। তা হালকা আঁচে গরম করে নিন।
তুলোর সাহায্যে চুলের গোড়ায় এবং স্ক্যাল্পে ভালো করে এই তেল লাগিয়ে নিন।তারপর ধীরে ধীরে আঙুল দিয়ে মালিশ করুন। সামান্য চাপ দিয়ে মাসাজ করলেই হবে। নারকেল তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। আমন্ড অয়েল চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।