স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিলাসবহুল বাড়ি, বাগানবাড়ি, ধাবা রয়েছে শান্তনুর। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বিশাল এলাকাজুড়ে এই বাগানবাড়ি। তবে শুক্রবারের ঘটনার পর শনিবার সকাল থেকে বাগানবাড়ির মূলগেট বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই বাগানবাড়ির জায়গাও নাকি নিজের প্রভাব খাটিয়ে আয়ত্ত করেছিলেন শান্তনু। রাত বাড়লেই এই বাগানবাড়িতে শুরু হতো নামী দামি গাড়ির আনাগোনা। কে বা কারা আসতেন তা বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যেত না। কারণ, সমস্ত গাড়ির কাচ তোলা থাকত।
বাগানবাড়ির দরজা খুলতেই ঢুকে যেত সেইসব গাড়ি।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চাদরা বটতলা এলাকায় এই বাগানবাড়ির ভিতরই গভীর রাত পর্যন্ত চলত নাচ-গানের আসর। আমোদ-প্রমোদে ভাসতেই এখানে আসা অতিথিরা। বাগানবাড়ির চারিদিক পেল্লায় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। চারদিকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো। ভিতরে যে কী চলত, তা বোঝা মুশকিল। তবে এলাকার উঁচু বাড়িগুলির ছাদে উঠলে দেখা যেত ভিতরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মহিলারা। ধোপধুরস্ত পোশাক পরে ঘুরতেন লোকজন।
তবে গেটের ভিতরে ঢোকার আগে অবধি গাড়ির কালো কাচ তোলাই থাকত।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির কাছে এই শান্তনু ‘মিডলম্যান’ অর্থাৎ মধ্যস্থতাকারী। একজন মধ্যস্থতাকারীর এমন প্রতিপত্তির বহরে হতবাক সকলে। তবে এলাকার লোকজন বলছেন, শান্তনুর এই কীর্তির কথা মুখে মুখে বহুদিন ধরেই ঘুরছে। তাঁর হাত ধরে চাকরি পাওয়া দু’ একজন ইতিমধ্যে চাকরিও খুইয়েছেন।
শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশপত্রের পাশাপাশি মোট ৩১২ জন চাকরি প্রার্থীর তালিকা পেয়েছে ইডি। ফলে জল যে আরও অনেকটা দূরই গড়াবে তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।সালটা ২০০৫। মোবাইল ফোনের সিম ও বিভিন্ন প্রসাধনী জিনিস বিক্রি করতেন বলাগড়ের যুবক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। কমমেটিক্স বিক্রেতা থেকে রকেট-গতিতে উত্থান হয় তাঁর।