রেস্তোরাঁর অলিন্দে রমরমা আসরের হদিশ পেয়ে অভিযান চালিয়ে এক প্রাপ্তবয়স্ক যুবক যুবতীকে আটক করার ঘটনা ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশের তৎপরতায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁচল শহরের তরলতলা কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের বিপরীতে এক রেস্তোরাঁর ঘটনা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছিলেন চাঁচলের নাগরিকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোষ্ট সূত্রে পুলিশ কর্তারা জানতে পারে চাঁচল শহরের রেস্তোরাঁয় রমরমিয়ে অলিন্দে যুবক যুবতীদের আসর চলছে। সেই সূত্র ধরেই ওই অভিযান চলে বৃহস্পতিবার ।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/351356342591264
অভিযোগ, ঘন্টা হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয় কেবিন গুলো। আর সেই কেবিনে ভিড় জমাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েরাও।
গ্রাম থেকে শহরে টিউশন পড়তে এসে রেস্তোরাঁয় প্রেমিক যুগলের আহর ঘটছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন চাঁচলবাসী। রেস্তোরাঁ গুলিল মুখ্য আয় হয়ে উঠেছে কেবিন ভাড়াতে বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে শহরের জীবনবিমা নিগম অফিস সংলগ্নেও একটি রেস্তোরাঁর এমনটা অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। এই সংস্কৃতি চলতে থাকলে পরিবেশ, সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে। ছেলেমেয়েরা চোখের সামনে এসব দেখলে কী শিখবে। এই সংস্কৃতি লজ্জার। অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার বলে দাবী করছেন চাঁচলবাসী।
এই ঘটনায় সরব হয়েছেন চাঁচলের রাজনৈতিক মহলগুলিও। রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা সকলেই বলেন, চাঁচলে রয়েছে জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,তার নিকট্যে এমন অসামাজিক কাজ কাম্য নয়। চাঁচলের সুনাম যেন নষ্ট না হয় দলের তরফে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন।
চাঁচল পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে শহরের একটি রেস্তোরাঁ থেকে এক প্রাপ্তবয়স্ক যুবক-যুবতীকে আটক করা হয়েছিল। সর্তক করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছেন রেস্তোরাঁর মধ্যে কেবিন থাকুক তবে তা যেন খোলামেলা থাকে। এবং শহরের সবকটি রেস্তোরাঁর মালিককে নিয়ে শুক্রবার আলোচনা করা হয়েছে পুলিশের সাথে। নিয়ম মেনে যেন রেস্তোরাঁ পরিচালনা করা হয় সেই নির্দেশ দিয়ে সতর্ক করেছেন পুলিশ মালিকদের।
চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সজল কান্তি বিশ্বাস অবশ্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন চাঁচল থানার আইসি কে।