ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে হতাশ করেছে। বিশ্লেষক সামি হামদি একটি টুইট করে জানিয়েছেন, সৌদি আরব বর্তমানে ইসলামকে আর মূল স্তম্ভ হিসেবে মনে করে না। ফেল সেই পরিচিতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দেশ।নিম্নে আলোচনা করা হলো —
রমজান চলাকালীন মসজিদে লাউডস্পিকার বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও প্রার্থনাই আর ব্রডকাস্ট করা যাবে না। এমনকী ইফতারও আর সম্প্রচারিত হবে না।
স্বল্প সময়ের জন্যই প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হবে সকলকে। শিশুদের মসজিদের অন্দরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে প্রয়োজন হবে সচিত্র পরিচয়পত্র।
মসজিদের অন্দরে সূর্যাস্তের পর ইফতার পালন করা যাবে না। অর্থাৎ ইফতারের খাবার সন্ধ্যার পর আর মসজিদের অন্দরে খাওয়া যাবে না।মসজিদে কোনও চাঁদা বা অনুদান গ্রহণ করা হবে না।
মক্কা এবং মদিনা ছাড়া বাকি সমস্ত মসজিদে প্রার্থনার শব্দ অল্পমাত্রায় রাখতে হবে। প্রার্থনা কোনওভাবেই সম্প্রচার করা যাবে না।
যারা রমজানের উপোস করবেন, তাঁদের খাবার সংগ্রহের জন্য কোনও ডোনেশন নেওয়া যাবে না। মসজিদ চত্বরে কেউ খাবার খেলে তাঁকেই সম্পূর্ণ এলাকা পরিষ্কার করে যেতে হবে। ইফাতারের (Iftar) জন্য কোনও টেন্ট নির্মাণ করা যাবে না।ক্যামেরা ব্যবহৃত হলেও মসজিদের অন্দরে কোনও ইমাম কিংবা প্রার্থনারতদের ছবি তোলা যাবে না। রমজানের পর মসজিদের অন্দরে কে থাকতে পারবেন আর কাকে অনুমতি দেওয়া হবে না, তা নির্ধারণ করবেন সংশ্লি্ট মসজিদের ইমাম।
সৌদি আরব প্রশাসনের এই নয়া রমজান আইন নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। কারও কারও মকে, এই নিয়মগুলির পিছনে নির্দিষ্ট যুক্তি রয়েছে। কেউ আবার মনে করছেন এই নিয়মে আদতে সেন্সরশিপের সমান।