গোটা ভাতাড় বিধানসভা জুড়ে সৌমেন কার্ফার নামে ধন্যবাদ জানিয়ে একাধিক জায়গায় পোষ্টার পড়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা।
করোনা মহামারীর শুরুর সময়ে ভাতাড় বিধানসভার কয়েকহাজার শ্রমিক যারা মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, কেরালা,তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্যে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক দের রেশন ও বাড়ি ফেরার জন্য সৌমেন কার্ফা সহযোগিতা করেনদল মত ধর্ম নির্বিশেষে, ভাতাড় বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামে দুঃস্থ মানুষদের চাল দিয়েও সাহায্য করেন।
সেই কারনে সৌমেন কার্ফাকে ধন্যবাদ গোটা ভাতাড় বিধানসভার, আলিনগর,কামারপাড়া, ওড়গ্রাম,বড়বেলুন,নর্জা,ভাতাড় বাজার সহ একাধিক জায়গায় পোষ্টার পড়েছে,সেখানে কোন দলের ছবি কোন ছবি বা কথা লেখা নেই,লেখা আছে “করোনার সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভাতাড় বিধানসভার ভূমিপুত্র তথা মানুষের নেতা সৌমেন কার্ফা তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।
এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক, কারন ২০১৭ সালে SFI এর জেলা সম্মেলনের পর থেকেই সিপিএমের সাথে সৌমেন কার্ফার সম্পর্ক তলানিতে,এলাকা জুড়ে গুঞ্জন ও জোড় চর্চা যে ভাবে সিপিএমের নাম না করে ব্যাক্তিগত ভাবে সৌমেন কার্ফার অনুগামীরা পোষ্টার ফেলেছে তাতে,কি ভবিষ্যৎ এ ভাতাড় বিধানসভা নির্বাচনে কি বিজেপির মুখ সৌমেন কার্ফা।
ভাতাড় বিধানসভা ও পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে জোড় জল্পনা রাজনৈতিক মহলে, কারন সৌমেন কার্ফার গোটা ভাতাড় বিধানসভা জুড়ে ভালো সাংগঠনিক দক্ষতা আছে,সৌমেন বিজেপিতে এলে ভাতাড় তথা জেলার অনেক বাম ছাত্র যুব নেতাই বিজেপিতে আসবে,এবং জেলা ও রাজ্য জুড়ে বামপন্থী ছাত্রযুব নেতৃত্ব হিসাবে পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ সৌমেন কার্ফা,এবং গোটা ভাতাড় বিধানসভার গ্রামে গ্রামে নিজস্ব পরিচিতি ও সংগঠন আছে,এবং ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এবং ২০১৯ এ লোকসভায় ভাতাড় বিধানসভায় সিপিএমের হয়ে ভোট পরিচালনার টাটকা অভিঞ্জতা আছে ।
সেটাকেই কাজে লাগিয়ে বিজেপি কি ভাতাড় বিধানসভা লড়াই এ নামতে চাইছেন সৌমেন কার্ফাকে নির্বাচনী মুখ হিসাবে কাজে লাগিয়ে!যদিও সৌমেন কার্ফার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।