অর্থনীতিতে স্নাতক হতে চেয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর কলেজে পড়ার পর মাঝপথে তাঁকে কলেজ ছেড়ে দিতে হয়। ৯০ বছর বয়সে স্নাতক হলেন বৃদ্ধা। রবিবার নর্দান ইলিনয়িস ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন জয়েস ডিফউ। মঞ্চে উঠে অজস্র হাততালির মাঝে নিজে হেঁটে গিয়ে ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন তিনি। তার পর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন স্বপ্ন ছোঁয়ার অনুভূতির কথা।১৯৫১ সালে জয়েস যখন কলেজে ভর্তি হন, তাঁর পুরো নাম ছিল জয়েস ভায়োলা কেন। অর্থনীতিতে স্নাতক হতে চেয়েছিলেন তিনি।
পড়াশোনাও এগিয়েছিল সেই মতো। কিন্তু সাড়ে তিন বছর কলেজে পড়ার পর মাঝপথে তাঁকে কলেজ ছেড়ে দিতে হয়।১৯৫৫ সালে বিয়ে করে নেন জয়েস। তার পর আর পড়া হয়নি। পাওয়া হয়নি অর্থনীতিতে স্নাতকের ডিগ্রিও। বেশ কয়েক বছর চুটিয়ে সংসার করার পর জয়েসের স্বামী মারা যান।
তত দিনে তিনি ৩ সন্তানের মা। আবার বিয়ে করেন জয়েস। দ্বিতীয় পক্ষে তাঁর আরও ৬ সন্তান জন্ম নেয়। তাদের মধ্যে ছিল দু’জোড়া যমজ সন্তানও। সময় পেরিয়েছে। জয়েসের নাতি-নাতনির সংখ্যা এখন ১৭। তাঁদের ছেলেমেয়ের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। নাতি-পুতি মিলিয়ে ৪১ জনের আদরের ঠাকুমা জয়েস।বিয়ে, সংসারের চাপে পড়ে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে পারেননি জয়েস।
কিন্তু মনে মনে অধরা স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে থেকে গিয়েছিল। ২০১৯ সালে জয়েস ফের কলেজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্নাতকের কোর্সটি তিনি সম্পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন। বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ায় পরিবার। একই কলেজে আবার তিনি ভর্তি হন। অনলাইনে চলে ক্লাস। অবশেষে ৯০ বছর বয়সে এসে জয়েসের শিক্ষা সম্পূর্ণ হল। ৭১ বছর পর মিলল সেই ডিগ্রি।