রাখিতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন চোখে পড়লো।
, O নেগেটিভ রক্ত না পাওয়ায় তীব্র সমস্যায় পড়েছিলেন ঘাটাল (Ghatal) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লুৎফিনা বেগম। এদিকে ওদিক ছোটাছুটি করেও তাঁর জন্য নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত মিলছিল না। এমনকী হাত তুলে নিয়েছিল ব্ল্যাড ব্যাঙ্কও। এদিকে রক্ত না পেলে তাঁর প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। এদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই তখন অত্মীয়-পরিজন-বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন লুৎফিনা বেগমের পরিবারের সদস্যরা।
রক্তের সন্ধানে হোয়াটসঅ্যাপেও ফরওয়ার্ড হতে থাকে মেসেজ। তাঁর তাতেই ঘটনার কথা জানতে পারেন দাসপুরের এক শিক্ষক অরুণ কুমার শাসমল। মরনাপন্ন রোগীর কথা জানতে পেরে সোজা চলে আসেন হাসপাতালে।তাঁর ও লুৎফিনা বেগমের রক্তের গ্রুপ একই হওয়ায় তিনিই শেষ পর্যন্ত রক্ত দেন লুৎফিনা বেগমকে।খুশি লুৎফিনা বেগমের পরিবারের সদস্যরাও।
তাঁর হিন্দু ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়াও করেন। এদিকে খুশির খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। তিনি এদিন চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজের হাতে রাখি পরান। যা নিয়েও গোটা হাসাপাতালে উন্মাদনার অন্ত ছিল না।