জ্ঞান ফিরতেই লাশকাটা ঘরে নিজেকে পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি স্টার’-এ।ঘটনাটি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রকিংহাম হাসপাতালের। রোগীর নাম কেভিন রিড। বছর পঞ্চান্নর কেভিনকে হাসপাতালের পেলিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। নার্স এসে তাঁকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন। সাধারণত কোনও ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্ত এ ক্ষেত্রে সেই ভূমিকা নিয়েছিলেন এক নার্স।
রিডকে মৃত ঘোষণা করার পর লাশকাটা ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পর দিন যখন চিকিৎসক ফের পরীক্ষা করেন তখন তিনি দাবি করেন যে, এই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হলেও, সেই সময় তাঁর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসক আরও দাবি করেন, লাশকাটা ঘরেই আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে রিডের। চিকিৎসকের এই দাবি ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।তাদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিডের মৃত্যুর যে শংসাপত্র দিয়েছেন, সেখানেও তারিখ ভুল রয়েছে। ওই শংসাপত্রে রিডের মৃত্যুর তারিখ দেওয়া হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু পরিবারের দাবি, ওই দিন তারা হাসপাতালে রিডের সঙ্গেই ছিল।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তখনই রিডের মৃত্যু হয়েছিল। আর তা পরীক্ষা করার পরই নার্স ওই রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, রিডের বেঁচে থাকার কোনও লক্ষণই ছিল না বলে পাল্টা দাবি করেছে হাসপাতাল।তার মৃত্যু নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে তা হলে কি সত্যিই রিড জীবিত ছিলেন? কেন ঠিক মতো পরীক্ষা করা হল না। কেনই বা চিকিৎসকরে বদলে কোনও নার্স রিডকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে রিডের পরিবার।
