পড়শির ‘মেরে সামনেওয়ালি খিড়কি মে’,গানে’ মুগ্ধ হয়ে আঠারোর তরুণীকে বিয়ে পঞ্চান্নর ফারুকের।
এত সুন্দর গানের গলা কার, ক্রমেই কৌতূহল বাড়ছিল ৫৫ বছরের ফারুক আহমেদের মধ্যে। এক দিন তিনি লক্ষ করেন, ওই সুরেলা আওয়াজ ভেসে আসছে তাঁর পড়শির বাড়ি থেকেই!সুরেলা কণ্ঠে গান ভেসে আসত তাঁর কানে। প্রায় দিনই সেই গান শুনতে পেতেন তিনি। এক দিন সটান হাজির হয়েছিলেন পড়শির বাড়িতে। গিয়ে দেখেন অল্পবয়সি একটি মেয়ে গান গাইছে। বছর ১৮। নাম মুসকান। তার পর থেকে প্রায়ই মুসকানদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেছিলেন তাঁর গানের টানে।
বাড়িতে ঘন ঘন আসা শুরু করতেই ফারুককে উদ্দেশ করে মুসকান গান করা শুরু করেন, ‘না মিলো হামসে জাদা’। গানটি ছিল ববি দেওল এবং রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘বাদল’ ছবির। কিন্তু ফারুক যাওয়া বন্ধ করেননি। দু’জনের মধ্যে গোপনে একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কেন ফারুক এত ঘন ঘন আসছেন, সন্দেহ হওয়াতে মুসকানের পরিবারের লোকেরা তাঁকে চেপে ধরেন। শেষেমেশ ফারুক স্বীকার করেন যে, মুসকানকে তিনি ভালবাসেন। তাঁকে বিয়ে করতে চান। মুসকানের পরিবার তাঁদের এই সম্পর্কে তীব্র আপত্তি জানায় ।শেষমেশ পরিবারের অমত সত্ত্বেও মুসকানকে বিয়ে করেন ফারুক। তিনি জানিয়েছেন, এই সম্পর্ক অনেকেই মানছেন না।তবে তাদের বক্তব্য কিন্তু এর জন্য যদি প্রাণ যায়, তার জন্যও আমরা প্রস্তুত।