সকাল ১০.৪০ মিনিটে ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেস শিয়ালদহ পৌঁছানোর কথা থাকলেও, ওই ট্রেন এ দিন বিকেল চারটের পর গন্তব্যে পৌঁছোয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। সকাল সাড়ে সাতটায় শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া ডাউন রানাঘাট লোকাল এ দিন নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা ১২ মিনিটের জায়গায় দুপুর ১টা ৫ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছোয়! আবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটের ডাউন শান্তিপুর-শিয়ালদহ লোকাল রানাঘাট পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় চার ঘণ্টা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে কল্যাণী ও নৈহাটি রেল স্টেশনের মাঝে রেলের ইন্টারলকিং সিস্টেম, দ্বিতীয় রেল লাইন ও অটো সিগন্যালের কাজ শুরু হয়েছে। তা জন্য ১৪ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে প্রায় ২১ জোড়া ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল পূর্ব রেল। ট্রেন বাতিল করার পরেও, অন্য ট্রেনগুলি নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪-৫ ঘণ্টা দেরিতে চলায় যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেনের দুর্ভোগ বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে।
শুক্রবার সেই দুর্ভোগের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে গেল। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি এ দিন চরম হয়রানির শিকার হন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরাও। এর জন্য রেলের অব্যবস্থাকেই দায়ীকরছেন তাঁরা।