বীরভূমের দুবরাজপুরের দাসপাড়া ও ডাকবাংলোপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পুজোয় এবারের থিম ভাবনা ‘গ্রাম্য পরিবেশ’
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গোৎসব। কিন্তু করোনা আবহের জন্য সারা বিশ্বে এবার সেরকম জাঁকজমক ভাবে পুজো হচ্ছে না। তবুও পুজো উদ্দোক্তারা ছোট করে পুজো করলেও কোনও খামতি রাখছেন না। এমনই চিত্র ধরা পড়ল বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়া ও ডাকবাংলোপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পুজোয়।
এবারে তাদের থিম ভাবনা ‘গ্রাম্য পরিবেশ’। দশম বর্ষে পদার্পণ করল তাদের এই পুজো। প্রতিবছর তাঁদের থিম ভাবনায় সমাজ সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়। গত বছর ছিল জল সংরক্ষণ। তার আগের বছর ছিল গাছ সংরক্ষণ। এ বছর করোনা আবহের জন্য খুব কম বাজেটের মধ্যে তাদের থিম ভাবনা ‘গ্রাম্য পরিবেশ’।
থিম : গ্রাম্য পরিবেশ ( বীরভূম )
থিম : গ্রাম্য পরিবেশ ( বীরভূম )
Gepostet von ACN Life News am Montag, 19. Oktober 2020
এ বছর পুজোয় তাদের বাজেট ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তাঁরা তাঁদের থিমের মধ্যে একটা খড়ের ছাউনি করা ঘরে মা দুর্গাকে রেখেছেন। তারপর বাইরের দেওয়ালে বিভিন্ন বার্তা দিয়ে অঙ্কন করা হয়েছে যে, মা দুর্গার আগমনের সাথে সাথে করোনা ভাইরাস ধীরে ধীরে রোধ হচ্ছে। তাই বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে, যাঁরা ব্যবসায়ী তাঁরা তাঁদের কাজে যেতে পারছেন, যাঁরা খেটে খাওয়া মানুষ যেমন রিক্সাওয়ালারা তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।
এই সমস্ত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গোটা দেওয়াল জুড়ে। এই পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল দত্ত জানান, প্রতিবছর আমরা থিমের মধ্যে দিয়ে মানুষকে সচেতন করি। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের জন্য সেরকম অর্থ সংগ্রহ করা হইনি। তাই খুব কম বাজেটের মধ্যে আমরা গ্রাম্য পরিবেশকে তুলে ধরেছি।
পাশাপাশি যে সমস্ত দর্শনার্থী পুজোয় আসবেন তাঁদের জন্য স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী এ বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মণ্ডপ শিল্পী লালন কবিরাজ জানান, মায়ের আগমনের সাথে সাথে মানুষের দুঃখ, যন্ত্রণা, ভয় বা করোনার যে আবহ তা আস্তে আস্তে কাটবে।