টম ক্রুজ হলেন একজন বিখ্যাত ও জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক। তিনি তিনবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেছিলেন এবং তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয় করেছেন। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯ বছর বয়সে এন্ডলেস লাভ (১৯৮১) চলচ্চিত্র দিয়ে।চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পরে ক্রুজ তার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র রিস্কি বিজনেস-এ। ক্রুজ পুরোপুরি তারকা হয়ে ওঠেন অ্যাকশন-নাট্যধর্মী টপ গান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর।
এরপর তিনি আশির দশকের কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র দ্য কালার অফ মানি (১৯৮৬), ককটেল (১৯৮৮), রেইন ম্যান (১৯৮৮) ও বর্ন অন দ্য ফোর্থ অফ জুলাই (১৯৮৯) এ অভিনয় করেন।নব্বইয়ের দশকেও তিনি কয়েকটি হিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে ও আ ফিউ গুড ম্যান, ১৯৯৩ সালে দ্য ফার্ম, ১৯৯৪ সালে ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার, ১৯৯৬ সালে কমেডি-নাট্যধর্মী জেরি ম্যাগুইর, এবং ১৯৯৯ সালে আইজ ওয়াইড শাট ও ম্যাগ্নোলিয়া। এছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি মিশন: ইম্পসিবল চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের পাঁচটি পর্বে ইথান হান্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন।গতকাল, রবিবাসরীয় ফুরফুরে সকালে বিমান থেকে সটান ঝাঁপ দিলেন টম।
মহাকাশেই জোরদার শুটিং চলছে ‘মিশন: ইম্পসিব্ল-ডেড রেকনিং’ ছবির। রোদ ঝলমলে নীল আকাশ এখন টমের কাছে বাড়ির মতো। এমনিতেই নিত্যনতুন কারসাজি দেখান অভিনেতা। সকলকে বড়দিন আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে যেতে ভুললেন না।টমের ভাগ করে নেওয়া ভিডিয়োটির উপরে অবশ্য লেখা ছিল, বিশেষ বার্তা দিতে চান তিনি। চালাতেই বোঝা গেল, দর্শককে আন্তরিক ধন্যবাদ দিতেই বছর শেষে এমন কাণ্ড করলেন। টমকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে বলতে শোনা যায়, “প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবিটি দেখার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।ভিডিয়ো দেখে শুরুতে আঁতকে উঠলেও মজা পেয়েছেন অনুরাগীরা। নায়ককে তো তাঁরা চেনেনই। তাঁর অভিধানে ‘অসম্ভব’ বলে যে কিছুই নেই।