ঘরোয়া উপায়ে গাঁটের ব্যাথাকে করুন জব্দ।
শুধু অ্যাকশন শুরুর অপেক্ষা। আর বাঙালিও তৈরি। কিন্তু সমস্যা রয়েছে বিস্তর। আজকাল একটু বয়স বাড়লেই গাঁটের ব্যাথার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। ফলে উৎসবের সন্ধ্যায় ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখতে যেতেও ভয় পান। কিন্তু ইচ্ছা তো সকলেরই করে।
যাঁরা ঠাকুর দেখতে ভালবাসেন, তাঁরা এক বাক্যে স্বীকার করবেন, পুজোয় পায়ে পায়ে ঘোরাই সবচেয়ে আনন্দের। কিন্তু পা, হাঁটুতে ব্যাথা থাকলে তো সমস্যা। এ দিকে গাড়ি করে ঘুরতে চাইলেও সহজ নয়। প্যান্ডেল থেকে অনেকটা দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে আসা ছাড়া গতি নেই। তাই হাঁটার জন্য তৈরি থাকতেই হয়। ফলে বয়স্করা অনেক সময়েই হাঁটুর ব্যাথার কারণে পুজোর সম্পূর্ণ স্বাদ উপভোগ করতে পারেন না।মুঠো মুঠো ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার আগে জেনে নিন কী ভাবে আয়ুর্বেদিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করেই ঠাকুর দেখতে পারেন।
১) পুজোর ক’দিন টক জাতীয় খাবাব কম খান। খাবারে নুনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ভাজাভুজি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও দূরে থাকুন।
২) রোজের রান্নায় দেশি ঘি ব্যবহার করুন। অলিভ অয়েলেও রান্না করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। সাদা তিল গাঁটের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। তাই রোজের রান্নায় তিল বেটে ব্যবহার করতে পারেন। স্বাদ বাড়বে আর ব্যাথাও কমবে। এ ছাড়া, স্যালাডেও তিল ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩)একটি বালতিতে ঈষদুষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে তার মধ্যে মিনিট ১৫ হাঁটু ডুবিয়ে রাখুন। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাথা কমাতে দিনে দুই থেকে তিন বার এই টোটকা মেনে চলুন।
৪) দু’কাপ দুধের সঙ্গে এক চামচ বাদাম, আখরোটের গুঁড়ো ও সামান্য মাত্রায় হলুদের গুঁড়ো ভাল ভাবে মিশিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে ঠান্ডা করে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই দুধ খাদ্যতালিকায় রাখলে ব্যথায় আরাম পাবেন। আদা খেলে হাঁটুর ব্যাথা অনেকটা কমে। এ ক্ষেত্রে আদা দেওয়া চা খেলেও উপকার পাবেন।