লড়াই করতে পিছুপা হয়নি ঝুম্পা ও সাথী। সমকামিতা মানতে নারাজ পরিবার। তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যতই বাধা নেমে আসুক হাত ছাড়বে না একে অপরের গোটা জীবন।হাইকোর্টের সমকামী আইনের রায় অনুযায়ী, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সম লিঙ্গের মানুষ একইসঙ্গে বিবাহ এবং যৌন জীবন সম্পন্ন করতে পারে। এটি কোনওভাবে অপরাধ নয়।তবুও বর্তমান সমাজে সমকামিতাকে লোক চক্ষুর আড়ালে রাখার চেষ্টা করা হয়।
এটি তাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।সমকামীতা কিছুটা প্রাধান্য পেলে ও গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এখনও মেনে নিতে পারেনি।এমনই ঘটনা ঘটলো হুগলির ধনিয়াখালিতে।ঝুম্পা ঢালি ধনিয়াখালি সাঠিথান গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। অপরজন সাথী বাগের বাড়ি বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায়। দুজনের পরিচয় হয় ইন্টারনেটের একটি সামাজিক মাধ্যমে। তারপর থেকেই গড়ে ওঠে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক।
তাদের পরিবারের লোক এই বিষয়ে জানতে পারলেই তড়িঘড়ি মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করে ফেলেন। ঝুম্পার বিয়ে ও দেওয়া হয় তার অমতে। যদিও সে বিয়ে টেকেনি বেশি দিন।কিন্তু তাতে কি ভালোবাসা আটকায় কোনদিনও? বছর চারেক আগে ঝুম্পার সাথে পরিচয় হয় সাথীর। তারপর থেকে শুরু হয় একে অপরের বাড়িতে আনাগোনা।বর্তমানে ঝুম্পার একটি দু বছরের সন্তান রয়েছে। দুজন বাড়ির অমতেই পালিয়ে গিয়ে গত এক মাস আগে বিয়ে করেন ব্যারাকপুরে। দুজনেই থাকছিলেন ব্যারাকপুরে।
নিজেদের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর জানতে পারেন তাদের বাড়ির লোক। বাড়ির লোক গিয়ে দুই মেয়েকে নিজেদের বাড়ি নিয়ে এসে তাদেরকে আলাদা করানোর চেষ্টা করেন।হাজারো বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে থাকতে চায় তারা এক সাথেই। সাথী ও ঝুম্পা যেন একে অপরের জন্যই তৈরি।ঝুম্পার মা জানান, মেয়ে যদি অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করত তাহলেও তারা মেনে নিত কিন�