মালদা জেলা চাচল ১ নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গালিমপুর স্ট্যান্ডে অটো, টোটো, ভুটভুটি সহ ক্ষুদ্র যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।তাদের অভিযোগ গালিমপুর থেকে চাচোল এর ভাড়া একসময় ছিল ১০টাকা।কিন্তু পরবর্তীতে রাস্তা খারাপের জন্য সেই ভাড়া বৃদ্ধি হয় হয় ১৫ টাকা।তবে বিগত কয়েক মাস ধরে রাস্তা ঠিক হয়ে গেলেও ভাড়া উল্টে বেড়ে হয়ে যায় ২০ টাকা।এই রাস্তাদিয়ে এলাকার প্রচুর মানুষকে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে চাঁচল যেতে হয়।ফলে এলাকার সাধারন গরিব মানুষেরা চাঁচল যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এমনিতেই লকডাউনের ফলে সমাজের গরিব মানুষেরা প্রচণ্ড আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।সেখানে দৈনন্দিন এত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যেতে তাদের সমস্যা হচ্ছে।ভাড়া কমানোর কথা বললেও কর্ণপাত করেনি চালকরা।সেই প্রতিবাদে আজ এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে বিক্ষোভ।বিক্ষোভের জেরে বন্ধ থাকে যান চলাচল।যদিও টোটো,অটো এবং ভুটভুটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয় যে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।তারপর লকডাউনের ফলে আগের থেকে অনেক কম যাত্রী যাতায়াত করছে।তাদের দৈনন্দিন আয় প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভাড়া না বাড়ালে তাদের সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে যাবে। তবে তারা চান আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক।
শরিফুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,”আগে রাস্তা খারাপের জন্য ভাড়া ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হয়েছিল ,আমরা মেনে নিয়েছিলাম।কিন্তু এখন রাস্তা ভালো হয়ে যাওয়ার পর ভারা না কমিয়ে উল্টে বাড়িয়ে কুড়ি টাকা করে দেওয়া হল।বহু গরিব মানুষকে বিভিন্ন কাজে নিত্যদিন চাঁচল যেতে হচ্ছে।প্রত্যেকের খুব অসুবিধা হচ্ছে।তাই এইভাবে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য আমরা আজ প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ”
ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ( মালদা )
ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Mittwoch, 23. September 2020
গালিমপুর স্ট্যান্ডে ক্ষুদ্র যানবাহনের চালকদের ইউনিয়নের সেক্রেটারি জিয়াউল হক বলেন,”আলোচনার মাধ্যমে সুস্থভাবেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।মানুষের সমস্যা হলে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।কিন্তু যেভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।আজ বুধবার চাঁচলে সাপ্তাহিক হাট বসে।সেখানে কোনো আলোচনা না করে এইভাবে হঠাৎ বিক্ষোভের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেল ,এর ফলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হলাম।লকডাউনের ফলে এমনিতেই আমাদের রোজগার অর্ধেক হয়ে গেছে ।”
আরেক ভুটভুটি চালক বলেন,”এই লকডাউনের ফলে গাড়ি চলাচল অনেক কমে গেছে। যাত্রী সংখ্যাও কমে গেছে। এদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ভাড়া না বাড়ালে আমাদের নিজেদের সংসারই যে চলবে না।”